রোমাঞ্চকর ফাইনালে চেলসিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে ১১-১০ গোলে জয় পায় অলরেডস। টুর্নামেন্টে রেকর্ড নবম শিরোপা জয়ের দিনে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছে লিভারপুল। লিগ কাপে ১৭ বছর আগে চেলসির কাছে হারের বদলা নিলো ইয়্যুর্গেন ক্লপ শিষ্যরা।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গোল মিস ও বাতিলের খ্যাপাটে এক ম্যাচে টাইব্রেকারে চেলসি কোচ টুখেলের বাজি ছিলেন বদলি গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। তবে টুখেলের সেই ট্রাম্প কার্ড কাজে আসেনি। নায়ক নয়, খলনায়কের আসনে বসেন আরিজাবালাগা। সাডেন ডেথে বল উড়িয়ে মেরে দলের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন এই গোলরক্ষক।
অথচ আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো চেলসি। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিকের শট রুখে দিয়ে লিভারপুলের ত্রাণকর্তা হন গোলরক্ষক কেলেহো।
৩০ মিনিটে পরে চেলসির ত্রাতা হন গোলরক্ষক এডওয়ার্ড মেন্ডি। নাবি কেইতা ও সাদিও মানের পরপর দু’টি শট রুখে দেন এই সেনেগালিজ। ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন মেসন মাউন্ট। গোলক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্য মিস করেন তিনি। আর পুলিসিকের শট পোস্টে প্রতিহত হলে হতাশা বাড়ে চেলসি শিবিরে।
৬৭ মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের স্বাদ পায় লিভারপুলের। তবে তাতে বাধ সাধে রেফারির বেরসিক বাঁশি। অফসাইডে বাতিল হয় জোয়েল মাতিপের গোল। কিছুক্ষণ পর একই ভাগ্য বরণ করতে হয় চেলসিকে। অফসাইডে বাতিল হয় টিমো ভারনার গোল।
গোলশূন্য ড্রয়ের পর অতিরিক্ত সময়েও চেলসির বাধা সেই অফসাইডের বাঁশি। রোমেলু লুকাকু ও কাই হাভার্টজের গোল বাতিল হয় একই কারণে।
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে সাডেন ডেথে, ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে নামানো চেলসি গোলরক্ষক আরিজা বালাগার মিসে শিরোপা উচ্ছ্বাস লিভারপুলের। এ নিয়ে রেকর্ড নবম শিরোপা জিতলো দলটি। বিপরীতে রাশিয়া আগ্রাসনের কারণে মালিকানা বিতর্কের পর আরও একটি হোঁচট চেলসি শিবিরে।
/এনএএস
Leave a reply