আঙুলের ছাপ দেয়া ছাড়াই মিলছে প্রবাসী কর্মীদের বিএমইটি কার্ড

|

আঙুলের ছাপ দেয়া ছাড়াই মিলছে প্রবাসী কর্মীদের, ব্যুরো অফ ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট এন্ড ট্রেইনিং অর্থাৎ বিএমইটি কার্ড। টাকার বিনিময়ে এই কার্ড করিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন এজেন্সি। ভুয়া কার্ড করিয়ে মানবপাচারের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এদের সাথে বিএমইটি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশও রয়েছে। রাজধানীতে এ নিয়ে ৩টি মামলার পর আটক হয়েছেন ৫ জন।

বাগেরহাটের জেসমিন এবং নেত্রকোনার নুরজাহান নামের সাবেক দুই সৌদি প্রবাসী করোনাকালে দেশে ফিরে আসেন। আবার বিদেশ যেতে রাব্বী ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি এজেন্সির দ্বারস্থ হন। কিন্তু, শ্রমিক হয়ে বিদেশ যেতে তাদের দরকার বিএমইটি কার্ড। কোনো শর্ত পূরণ ছাড়াই টাকার বিনিময়ে সেই কার্ড করিয়ে দেয় এজেন্সির লোকজন।

কিন্তু, বিমানবন্দরের প্রবাসী কর্মী ডেস্কে তাদের আঙুলের ছাপের সাথে বিএমইটি কার্ড না মেলায় আটকে দেয় এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ। এই দুই ভুক্তভোগীর সন্দেহ, ভুয়া কাগজ করিয়ে পাচার করা হতে পারতো তাদের। রাজধানীর বনানী থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করে তারা।

জেসমীন-নুরজাহানদের মতো এই ঘটনা এখন অহরহ। টাকা দিলেই মিলছে বিএমইটি কার্ড। মূলত, মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে, নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে আঙুলের ছাপ দেয়ার পর কর্মী হিসেবে ভিসা পেলেই মিলবে বিএমইটি কার্ড।

চলতি মাসেই অনুসন্ধানে ধরা পড়ে আরেকটি জালিয়াতি। একটি পাসপোর্টের বিপরীতে দুটি বিএমইটি করিয়েছে আরেকটি চক্র। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইউরোপে পাচারকালে যে সাত বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগরে মারা গেছেন তাদের সবাই টাকার বিনিময়ে পেয়েছিলেন বিএমইটি কার্ড। সবশেষ, বনানী থানার মামলায় রাব্বী ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির এক নারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ভয়ঙ্কর এমন কাণ্ড জেনেও নিরব জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরো বিএমইটি। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর মহাপরিচালক বলেন, এসব কারিগরী ভুল। তবে, জালিয়াতির প্রমাণ দেখানোর পর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ডিজি।

বিএমইটি সূত্র বলছে, স্মার্ট কার্ডের সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করে মূলত তৃতীয় পক্ষ। নিজস্ব সরকারী সার্ভার না হলে এ ধরনের জালিয়াতি বন্ধ করা কঠিন।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply