ছিনতাইয়ের অভিযোগে সোনাগাজী থানার তিন পুলিশ সদস্য ক্লোজড

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, নোয়াখালী:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।

আজ সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনীর পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ক্লোজডের বিষয়টি স্বীকার করেন।

জানা যায়, ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আটক করে স্থানীয় জনতা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ছোটধ্বলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ফেনী পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবেন। তারপর তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আটকদের মধ্যে একজন হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জহিরুল হক। বাকী দুইজন হলেন, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ও কায়সার হামিদ।

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে ছোটধ্বলি গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রাস্তার ওপর তিন পুলিশ সদস্য তাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করেন। পরে ব্যবসায়ীর কোমর থেকে দেড় লাখ টাকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে শেখ ফরিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে সিএনজিসহ তিন পুলিশকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। ফেনীর পুলিশ সুপারের অনুরোধে তাদের সোনাগাজী থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করি।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, আদর্শগ্রাম তদন্তকেন্দ্রের ৩ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মুছাপুরের স্থানীয় লোকজনের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply