খুলনা নগরীর সবচেয়ে জনবহুল একটি অবাসিক এলাকায় এক গৃহবধূর শরীরে করোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল স্বামী কামরুল ইসলাম। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে খুকুমনি নামে ওই গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আদালতের দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগী পরিবার। আদালত তাদের আরজি গ্রহণ করে মামলা রেকর্ড করতে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় মেয়ে খুকুমনিকে। আগুনে পানি ঢেলে বাঁচতে চেয়েছিল খুকু। তার পুড়ে যাওয়া কাপড় আর চুলের অংশ এখনও পড়ে আছে বাথরুমে। ঘরের মেঝেতে ছড়ানো চুড়ি-জামাকাপড়সহ ব্যবহ্নত জিনিস।
অভিযোগ, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে খুকুমনিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে করোসিন ঢেলে আগুন দেয় স্বামী কামরুল ইসলাম স্বাধীন। তার চিৎকার থামাতে শরীরে জড়িয়ে দেয় ঘরের পর্দা। অবস্থা খারাপ হওয়ায়, মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ডাকে স্বাধীন, স্ত্রীকে ভর্তি করে খুলনা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে।
অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন খুকুমনিকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মুত্যু হয় খুকুর। মৃত্যুর আগে সেই রাতের নৃশংসতার কথা বাবা-মাকে জানায় খুকুমনি।
মাস তিনেক আগে বাবা-মায়ের অমতে বিয়ে করে খুকুমনি ও স্বাধীন। এরপর থেকে নানাভাবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির কাছে টাকা চাইতো স্বাধীন, নির্যাতন করতো খুকুমনিকে।
/এডব্লিউ
Leave a reply