মসজিদের মাইকের বদলে হোয়াটসঅ্যাপে মুসল্লিতের ডাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ভাবা যায়? এমন একটি অভিনব পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে আফ্রিকার দেশ ঘানা। আফ্রিকার আর দশটা বড় শহরের মতো ঘানাতেও শব্দ দূষণের মাত্রা প্রবল। পাশাপাশি, যানজট, ফুটপাতের হকার, হাজার হাজার মানুষের কোলাহল তো আছেই। সেই শব্দ দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে মসজিদ, গির্জার মাইকের শব্দ!
অবস্থা বেগতিক দেখে ঘানার রাজধানী আকরায় ধর্মীয় উপসনালয়ের শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বন্ধে কঠোর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বড় ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে মসজিদগুলোকে। মসজিদ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে মুসলিম কমিউনিটিকে প্রার্থনার আহবান জানানোর।
দেশটির পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী বোয়েটং বলেছেন, ইমামরা কেন মেসেজ পাঠিয়ে বা হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে মুসল্লিদের আহবান জানাবেন না। এটা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে এটিই সমাধান।
তবে ঘানার একটি বড় মসজিদের ইমাম বলেছেন, দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। এটা স্মরণ করিয়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব। এটা ঠিক যে এখানে শব্দ দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। কিন্তু মেসেজ কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে করে সবাইকে আহ্বান জানানো সম্ভব নয়। আর ইমামদের যে অঙ্কে বেতন দেয়া হয়, তাতে এই বাড়তি খরচও বহন করা কঠিন।
মুসলিম সম্প্রদায়ের এক নেতা বলেছেন, এমন নয় যে আমরা সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবসময় সক্রিয় থাকি। এটা আমার কাছে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে। আযান দেয়া মুসলমানদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য। আমরা এমন সিদ্ধান্ত মানবো না।
তবে, দেশটির সরকার শব্দ দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply