খেলার মাঠ ছেড়ে যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের খেলোয়াড়রা

|

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে দেশকে বাঁচাতে ক্রীড়াক্ষেত্র ছেড়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন ইউক্রেনের খেলোয়াড়রা। কোচিং ক্যারিয়ার ছেড়ে যুদ্ধে নেমে পড়েছেন ইউক্রেন ও আর্সেনালের সাবেক ডিফেন্ডার ওলেগ লুঝনি। সেই সাথে মাতৃভূমিকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী বক্সার ওলেকজান্ডার ইউসক।

রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রেনে চলছে গেরিলা প্রস্তুতি। নিজের মাতৃভূমি রক্ষার্থে অনেক ইউক্রেনবাসী প্রস্তুত হচ্ছে যুদ্ধের জন্য। কোচিং ক্যারিয়ার স্থগিত রেখে যোগ দিয়েছেন লুঝনিও। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার আগে আগে ডায়নামোর খেলোয়াড় হিসাবে ওলেগ লুঝনি জিতেছেন ৮ টি ফুটবল শিরোপা। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতের জার্সিতে অভিষেক হলেও ইউক্রেনের হয়ে ৩৭ টি ম্যাচ খেলেন তিনি। ৫৩ বছর বয়সী এই সাবেক আর্সেনাল ডিফেন্ডার নিজের কোচিং ক্যারিয়ার জলাঞ্জলি দিয়ে নেমে পড়েছেন যুদ্ধে।

যুদ্ধে যোগ দেয়ার সংকল্পের কথা জানিয়েছেন আর্সেনাল তারকা লুঝনি। ছবি: সংগৃহীত

২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ইউক্রেনে ডায়নামো কিয়েভের সহকারী কোচের ভূমিকা পালন করেছেন লুঝনি। আট বছরের কোচিং ক্যারিয়ার পুনরায় শুরু করতে দুই মাস আগে ইংল্যান্ডে ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। লুঝনি বলেন, অবস্থা ভয়াবহ। ইংল্যান্ডে কোচিং করাতে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসবের আগে আমি আমার দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে চাই।

যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন ক্লিশকো ভ্রাতৃদ্বয়। ছবি: সংগৃহীত

শুধু লুঝনিই না, একইভাবে মাতৃভূমিকে বাঁচাতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আরও একজন। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে বক্সিংয়ে গোল্ড মেডেলিস্ট ওলেকজান্ডার ইউসক রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিজের দেশকে বাঁচাতে নেমেছেন যুদ্ধে। এর আগে হল অফ ফেমে জায়গা পাওয়া বক্সার ও কিয়েভের মেয়র ভ্লাদিমির ক্লিশকো রাশিয়ার আগ্রাসন হতে পারে ভেবে আগেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তার ভাই আরেক কিংবদন্তি বক্সার ভিতালি ক্লিশকোও যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে। এবার অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন বক্সার ইউসকও পাড়ি জমালেন একই পথে।

ওলেকজান্ডার ইউসক যোগ দিয়েছেন সেনাবাহিনীতে। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার উদ্দেশে ওলেকজান্ডার ইউসক বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আমরা আপনার ভাই, তাহলে আপনার সন্তানদের আমাদের দেশে লড়াই করতে পাঠাবেন না। এই আহ্বান আমার ভ্লাদিমির পুতিনকে। আপনি চাইলেই যুদ্ধ থামাতে পারেন। তাই শান্ত হয়ে আলোচনায় বসুন। আমাদের স্ত্রী-সন্তানরা মাটির নিচে লুকিয়ে আছে।

আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চলবে’


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply