খেরসন এখনও আমাদের দখলে, দাবি ইউক্রেনের

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের শহর খেরসন দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। তারা দাবি করে, হামলার সপ্তম দিনে এসে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ শহর দখল করেছে। কিন্তু রাশিয়ার এই দাবি মিথ্যা ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্টোভিচ।

বুধবার (২ মার্চ) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। ওলেক্সি আরেস্টোভিচ বলেন, শহরটিতে রাস্তায় রাস্তায় এখনও দুই পক্ষের সংঘর্ষ হচ্ছে। রাশিয়া খেরসন শহর দখলের যে দাবি করেছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, খেরসন এখনও আমাদের হস্তচ্যুত হয়নি। আমরা শহরটি রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।

এর আগে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকভ বলেন, রাশিয়ান সেনারা খেরসনের আঞ্চলিক কেন্দ্রের পূর্ণ দখল নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, গণপরিবহন ও সেবাখাতগুলো ঠিকঠাকভাবেই চলছে। এখন পর্যন্ত খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর কোনো ঘাটতি দেখা দেয়নি।

আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে ৮০ হাজার নাগরিককে ফেরত এনেছে ইউক্রেন

কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খেরসন শহরটি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে। শহরটি কৃষ্ণসাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর ও শিল্পকেন্দ্র। খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অর্থ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ পানির উৎসের নিয়ন্ত্রণ নেয়া। রাশিয়া ক্রাইমিয়ার দখল নেয়ার পর ইউক্রেন নর্থ ক্রাইমিয়ান খালে বাঁধ তৈরি করেছিল। এতে ক্রাইমিয়ায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে অঞ্চলটিতে পানির সঙ্কট দেখা দেয়। ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাদের লক্ষ্যবস্তুগুলোর অন্যতম হলো খেরসন। সেখানকার গুরুত্বপূর্ণ পানিপথকে উন্মুক্ত করা এবং ক্রাইমিয়ায় আবারও পানি সরবরাহ চালু করা তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ঘোষণা দেন, তিনি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ অনুমোদন দিয়েছেন। এরপর ভোর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে বড় বড় বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply