জায়েদের পাশে কাঞ্চন; জানালেন পদত্যাগের কথাও ভাবছিলেন!

|

সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলে প্রথমে বিজয়ী ঘোষিত হলেও সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারেননি চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ নির্বাচনের ফল মেনে না নেয়ায় সাধারণ সম্পাদকের পদ ঘিরে শুরু হয় জটিলতা, যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অবশেষে বুধবার (২ মার্চ) আদালতের দেয়া রায়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছেন জায়েদ। প্রথম কার্যদিবসেই সাথে পেয়েছেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকেও। এক সংবাদ সম্মেলনে উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন একসাথে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করার।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে একসাথে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ও আদালত নিয়ে যা হয়েছে সে প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সে চেয়ারে বসলে তো আর পুরো সমিতি নিয়ে চলে যাবে না। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে আমি পদত্যাগের কথাও ভাবছিলাম। তারা তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যাচ্ছে, আমি বারবার বলেছি সমিতি খুলে দিতে। তাদের এই বিষয়গুলো আমার ভালো লাগেনি। দেখুন, ভাল আচরণ ও ভালোবাসা দিয়ে অনেক কিছুই জয় করা যায়, সবকিছুর একটা সমাধান আছে।

দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী দর্শক ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, আমি থাকি বা না থাকি আপনারা ইন্ডাস্ট্রিটাকে রক্ষা করবেন। ধন্যবাদ আমাদের দর্শক ও সাংবাদিক ভাইদের।

চিত্র নায়ক জায়েদ খান বলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আমি আজকে খুবই খুশি যে একটা ভাল কাজের মাধ্যমে আমাদের সভাপতির সাথে আমাদের কাজ শুরু হলো নতুন করে। ওরা তো সারপ্রাইজ দিয়েছে আমাকে, আমি সকাল থেকে সমিতিতে বসে আছি, শুনলাম যে সভাপতি আসছেন। সভাপতি আগে থেকেই আমাদের অত্যন্ত ভালোবাসার মানুষ। তার ছায়াতলে থাকাটাও সৌভাগ্যের ব্যাপার। চলচ্চিত্র শিল্পীদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকবো-এই কথা আমরা দিচ্ছি।

জায়েদ খান আরও বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন, মনোয়ার হোসেন ডিপজল আর মাসুম পারভেজ রুবেল এই ৩ জন ব্যক্তি যদি আমাদের মাথার ওপরে থাকেন তাহলে চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীদের উন্নয়ন না হয়ে কোনো উপায় নেই।

জায়েদ খান বর্তমান সমিতি সম্পর্কে বলেন, আমাদের প্যানেলে সুচরিতা, রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা, মৌসুমী, ফেরদৌস ভাই, অমিত ভাইয়েরা আছেন। আবার জুনিয়রদের মধ্যে শাহনূর, কেয়া, জয়, ইমন, সাইমনরা তো আছেই। আমার মনে হয় না যে শিল্পী সমিতিতে এরচেয়ে শক্তিশালী কমিটি আর হতে পারে। আর আমরা খুবই গর্বিত যে আমাদের রাজপথের যোদ্ধা শ্রদ্ধেয় ইলিয়াস কাঞ্চন আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্যানেলে অন্যান্য যারা আছেন তারা সকলেই অত্যন্ত আনন্দিত যে আমরা একসাথে কাজ করবো চলচ্চিত্রের জন্য।

/এসএইচ




সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply