রাজধানীতে দুই বাসের চাপায় আহত হয়ে প্রাণ হারানো কলেজছাত্র রাজীবকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালিতে দাফন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাউফল উপজেলা সদরের পাবলিক মাঠে অনুষ্ঠিত হয় জানাজা। এতে অংশ নেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ সর্বস্তরের মানুষ। পরে রাজীবের মরদেহ দাসপাড়ায় নানাবাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে, নিহত রাজীবের ছোট দুই ভাইকে দেখভালের দায়িত্ব সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মাসুমুর রহমান।
বাবা-মা হারা রাজীব হোসেন তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো। তার মর্মান্তিক মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে সবাইকে। সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীবের ছোট দুই ভাইয়ের দেখভালের দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলও।
গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। হঠাৎ করেই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিকে গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের সামান্য বের হয়ে থাকা হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। এরপর রাজীবকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সকলকে কাঁদিয়ে সোমবার গভীর রাতে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যান রাজীব।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply