রুশ বাহিনীর সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন, যা বললেন পুতিন ও ল্যাভরভ

|

ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেন অভিযানে এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ সামরিক শক্তি ব্যবহার না করায় রাশিয়ার উদ্দেশ্য ও কৌশল নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। পরাশক্তি হওয়ার পরও ইউক্রেনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে রুশ বাহিনী। তাই রুশ বাহিনীর সামর্থ্য নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ১৫ মাইল দূরে অবস্থান করছে বিশাল রুশ বহর। ছবি বিশ্লেষণ করে পশ্চিমা গোয়েন্দারা বলছে, বহরের দৈর্ঘ্য ৬৫ কিলোমিটার। যার অংশ হাজার হাজার সাঁজোয়া যান ও ট্যাংক। কিন্তু, প্রবল শক্তিধর এই বহর কিয়েভে ঢোকার চেষ্টা না করে, একই জায়গায় অবস্থান করছে ৪ দিন ধরে। এই রহস্যজনক নীরবতা নিয়েই নানা জল্পনা-কল্পনা।

অবশ্য, যেসব জায়গায় অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী, সেখানেও পড়তে হয়েছে অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধের মুখে। ভাণ্ডারে নানা ধরনের অস্ত্র থাকলেও ব্যবহার করছে না বেশিরভাগই। বিশেষ করে, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের বহর ব্যবহার না করায় উঠেছে নানা প্রশ্ন।

তবে ৯ দিনেও কাঙ্খিত সাফল্য না আসায় মোটেই বিচলিত নন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উল্টো তার দাবি, পরিকল্পনামাফিকই এগোচ্ছে সবকিছু।

বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী এখনও সঠিক পথেই আছি। সাহসের সাথে সেখানে আমাদের সেনারা লড়াই করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটি জায়গায় শিডিউল এবং ম্যাপ ধরেই বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুতই সব লক্ষ্য পূরণ হবে আমাদের।

পশ্চিমা কিছু গণামধ্যমের দাবি, নানা বাধার মুখে পড়ায় কিয়েভে হামলার আগে কৌশল পরিবর্তনে সময় নিচ্ছে মস্কো। আবার কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, পরিকল্পিতভাবেই কিয়েভকে চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করতে চায় পুতিন বাহিনী। যে কারণে, কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে আগে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, এই সংকটের যে সামাধান আসবে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কোন ধরনের প্ররোচনায় পা দিতে চাই না। কারণ পুরোদমে যুদ্ধের চিন্তা নেই আমাদের। তাই সে ভাবেই পরিকল্পনা করে আগাতে হচ্ছে। মূলত এই ধরনের অভিযান কিছুটা ধীর হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, বিপুল প্রাণহানি এড়াতে ইচ্ছা করেই যুদ্ধবিমান থেকে নির্বিচার বোমা মারছে না রুশ বাহিনী। তাছাড়া বিশাল বহর আছে বলে, লম্বা সময় ধরে অভিযান চালানোরও সামর্থ্য আছে তাদের। যে কারণে পূর্ণাঙ্গ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রয়োজন হচ্ছে না।

অভিযান শুরুর সময়ই রুশ প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেছিলেন, মস্কোর মূল লক্ষ্য ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ক্ষমতাসীনদের বিদায়।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply