চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষে রশিয়ার মুহুর্মুহু আক্রমণে ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের সমগ্র ব্যবস্থা। চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে ইউক্রেনীয়রা। রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে জীবন বাঁচাতে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সাবওয়ে বা পাতাল রেলস্টেশনে। তারা সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বেশ কয়েকটি সেবা সংগঠন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু কিয়েভের মেট্রো স্টেশনেই ঠাঁই হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষের। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে থাকতে হচ্ছে গাদাগাদি করে। বাইরের জগত থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন সাবওয়েতে ফুরিয়ে আসছে খাবারের মজুদও।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন এসব পাতাল রেল নির্মাণ করা হয় তখনই স্টেশনের নকশা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে সংঘাতের সময় এখানে আশ্রয় নিতে পারে সাধারণ মানুষ।
কিয়েভজুড়ে সাবওয়ে স্টেশন রয়েছে মোট ৫২টি। কর্তৃপক্ষ বলছে, এরইমধ্যে এসব স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। সবমিলিয়ে ১ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে রাজধানীর পাতাল রেল স্টেশনগুলোতে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাশিয়া শুধু সামরিক স্থাপনায় হামলার কথা বললেও নির্বিচারে বোমা পড়ছে বাড়িঘর, হাসপাতাল, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক অভিযান ঘোষণার কয়েক মিনিট পরেই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
/এনএএস
Leave a reply