বরগুনা প্রতিনিধি:
সৌদি আরবের হোটেলে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বরগুনার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আবু জাফর-শাহনাজ রুনু দম্পতির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভুয়া ভিসা দেখিয়ে তাদেরকে সৌদি নেয়ার কথা বলে ঢাকায় ফেলে রেখে নিজেই বিদেশ পাড়ি জমান জাফর। বছরের পর বছর পাসপোর্ট আটকে রাখার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড বরইতলা এলাকার সেলিনা বেগমও এই দম্পতির হাতে প্রতারণার শিকার। টানপোড়েনের সংসারে ঋণ নিয়ে ছেলে সবুজকে বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ জন্য ২০১৭ সালে অভিযুক্ত আবু জাফরের কাছে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন তিনি। বিদেশে নেয়া তো দূরে থাক, বছরের পর বছর ঘুরেও সেই টাকা জাফরের কাছ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে জীবিকার তাগিদে এখন ভাড়ায় অটোরিক্সা চালাচ্ছেন সবুজ।
একইভাবে বিদেশ নেয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তি জাফরের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পাথরঘাটার বাসিন্দা মামা হালিম মেম্বার ও মামাতো ভাই মনিরের সুবাদে প্রতারণার জাল বিস্তার করেন জাফর। অভিযোগকারীরা তার কাছ থেকে জোর করে চেক আদায় করে নিয়েছে বলে দাবি করেন জাফরের স্ত্রী। তার বিরুদ্ধেও ভুক্তভোগীদের করা একটি চেকের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। অন্যদিকে যোগাযোগ করা হলে টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন জাফর নিজেও।
এ নিয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, বিদেশে নেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাফরকে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় আনার কথাও জানান এই পুলিশ সুপার।
এসজেড/
Leave a reply