কেন বেসামরিকদের মারিওপোল ছাড়ার সুযোগ দিচ্ছে রাশিয়া?

|

ইউক্রেনকে চতুর্মুখী চাপে ফেলতেই বন্দর নগরী মারিওপোলের নিয়ন্ত্রণের জন্য মরিয়া রুশ বাহিনী। এলাকাটি আয়ত্তে এলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে মস্কো, এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। এ কারণেই মারিওপোল থেকে বেসামরিক মানুষকে সরে যেতে সাময়িক অস্ত্রবিরতি রাশিয়ার।

সম্প্রতি ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে মারিওপোল এবং ভলনোভখায় সামরিক অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পরপরই শুরু হয় শহর ছাড়ার তোরজোড়। এর আগে কয়েকদিন ধরেই শহরদুটিতে তাণ্ডব চালায় রুশ বাহিনী। চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই মারিওপোল কৌশলগতভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দরটি দিয়ে আমদানি-রফতানি হয় বেশিরভাগ পণ্য। এছাড়াও ইস্পাত শিল্পের জন্য বিখ্যাত শহরটিতে রয়েছে জাহাজ কারখানা। যা রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইউক্রেনের সাবেক আইনমন্ত্রী সের্গেই প্যাথকোভ বলেন, রাশিয়া ভেবেছিল খুব সহজেই তারা এ লড়াইয়ে জিতে যাবে। যখন দেখলো কঠের প্রতিরোধের মুখে তারা পড়েছে তখন কৌশল পাল্টাচ্ছে মস্কো। তারই অংশ হিসেবে মারিওপোলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে রাশিয়া।

গেল কয়কদিন ধরে মারিওপোল অবরুদ্ধ করে রাখে রুশ বাহিনী। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ জনসংখ্যার শহরটির নিয়ন্ত্রণে পেলে অ্যাজভ সাগর ও কৃষ্ণ সাগর তথা আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে রাশিয়া। ফলে ইউরোপ থেকে নৌপথে ইউক্রেনে ত্রাণ বা অস্ত্র সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে পড়বে।

এর আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দখলে নেয় রাশিয়া। মারিওপোলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে দক্ষিণাঞ্চলেও সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে মস্কো।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply