সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেছেন, দ্রুততর সময়ের মধ্যে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। আর এই অঙ্গীকার পূরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে ও আইনের বিধান অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
শনিবার (৫ মার্চ) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের কনফারেন্স রুমে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি জনাব মোস্তফা জামান ইসলাম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকলের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। আর এ অঙ্গীকার পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে ও আইনের বিধান অনুসরণ করে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ বলেন, মানি লন্ডারিং আইন, দুদক আইন, মাদক আইনের মামলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে তদন্ত করতে হবে।
সভার সভাপতি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মামলার ভিত্তি রচনা করে দেয়। তদন্তের ক্ষেত্রে যে ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে সেগুলো উল্লেখ করে এরপর থেকে যেন সে ভুলগুলো না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সর্তক করেন তিনি। তদন্ত তদারকি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, সাক্ষীর উপস্থিতি বাড়ানো, আলামত উপস্থাপন ও নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি আরও নির্দেশ দেন যে পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারি সব অন্য পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে এই ধরনের মামলায় তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার নিষ্পত্তি করবেন। সভায় ডিএমপির বিভিন্ন থানার ২৫ জন ওসি, বিভিন্ন জোনের ডিসি, পিবিআই, র্যাব, দুদক, মাদক, জেল, পিপি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি- সম্পাদক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকদের প্রতিনিধি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply