সুইফট নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ায় কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে তৈরি পোশাক রফতানি। লেনদেন প্রতিবন্ধকতায় ওই দেশে রফতানিতে উদ্যোক্তারা বেশ সতর্ক। এরই মধ্যে আটকে গেছে বড় অঙ্কের পেমেন্ট। রাশিয়ায় ডকুমেন্ট পাঠাতেও আগ্রহী নয় কোনো কুরিয়ার সার্ভিস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। তবে চীনের সঙ্গে বিকল্প চ্যানেলে লেনদেনের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম গন্তব্য রাশিয়া। বর্তমানে সরাসরি এবং তৃতীয় দেশের মাধ্যমে রফতানি করে দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান। শুরু হওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশটির সঙ্গে বন্ধ হয়েগেছে রফতানি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলছেন, সুইফস ব্যবস্থায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যহত হচ্ছে লেনদেন। তাই এরই মধ্যে আটকে গেছে বড় অঙ্কের প্রেমেন্ট। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানালেন, এমন অবস্থায় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থ প্রাপ্তির পথ তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন ক্রেতা এবং ব্যাংকের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে একটি পথ খোঁজার চেষ্টা করছেন তারা।
রাশিয়ায় প্রতিবছর রফতানি হয় ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক। এ বছরে যা ১ কোটিতে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়। তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে লেনদেন চালুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলছেন, কয়েকদিন ধরে রাশিয়ায় কোনো ডকুমেন্টও পাঠানো যাচ্ছে না। তবে রাশিয়ান সরকার চীনের সাথে মধ্যস্থতার মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়ার ব্যবস্থা করছে বলেও জানালেন তিনি।
সুইফট নিষেধাজ্ঞায়, দীর্ঘমেয়াদি রফতানি সংকটে পড়বে বাংলাদেশ। বলা হচ্ছে, তৃতীয় ব্যাংক অথবা দেশের হয়ে আকু প্রেমেন্ট ব্যবস্থায় অর্থ ছাড় করা সম্ভব। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বললেন, যেসব রাশিয়ান ব্যাংক সুইফট নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে তাদের মাধ্যমে অথবা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে অর্থ ছাড় করা যেতে পারে।
সংকটকালীন এই সময়ে রাশিয়াকে বাদ দিয়ে ভিন্ন দেশের সঙ্গে রফতানি সম্পর্ক স্থাপন করা দরকার বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply