নাগরিকত্ব প্রমাণের নোটিশ পেয়ে আত্মহত্যা করেছিল ছেলে, ১০ বছর পর একই নোটিশ মাকে পাঠালো ভারতের শিলচরের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, আসামের কাছাড় জেলার কাটগোরা বিধানসভা কেন্দ্রের হরিতিকর পার্ট ১-এর বাসিন্দা অকোল রানি নমঃশূদ্র (৮০)। গত মাসে তাকে একটি নোটিশ দেয় শিলচরের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্তে পুলিশের সামনে কোনো বৈধ নথি উপস্থাপন করতে পারেননি। এর ভিত্তিতে আপনাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এই নিয়ে ফের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অকোল রানি। তবে আশার কথা, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তার মামলা লড়ার জন্য শিলচরের একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীকে তিনি পাশে পেয়েছেন।
আইনজীবী অনিল দে হিন্দুস্থান টাইমসকে বলেন, ২০১২ সালে একই ধরনের নোটিশ তার ছেলে পেয়েছিলেন। নোটিশ পেয়ে আত্মহত্যা করেন ছেলে। মৃত্যুর শংসাপত্রে তাকে ভারতীয় বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। আমি বুঝতে পারছি না, কেনো মাকে আবার নোটিশ দেয়া হলো। তবে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ নিয়েই তিনি আদালতে হাজির হবেন বলে জানিয়েছেন অনিল দে।
প্রসঙ্গত, অকোলের স্বামীর নামে ভারত সরকারের দেয়া ১৯৫৬ সালের নাগরিকত্বের কার্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও ২০১২ সালে ছেলে অর্জুন নমঃশূদ্রকে নোটিশ পাঠানো হয়। তার পরিবার জানিয়েছে, নোটিশ পাওয়ার পর মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। গ্রেফতার করে তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে, এই ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ইউএইচ/
Leave a reply