বইমেলা মানেই সারাদেশের কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের নিজেদের প্রকাশের একটি সময়। মেলায় যত বই প্রকাশিত হয়, এর বড় অংশ জুড়েই থাকে কবিতার বই। কিন্তু জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে গল্প বা উপন্যাস। তবে কি কবিতা জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে? নাকি পাঠকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না কবিরা? কিংবা কিন্তু যাদের জন্য এত আয়োজন, সেই পাঠকেরা পছন্দ করছেন কোন ধরনের বই?
বইমেলায় আসা এক তরুণ জানালেন, লেখক কোন যুগের জন্য লিখছেন, এর ওপরই নির্ভর করে কবিতার বই পছন্দ হবে কিনা। আরেক তরুণী বললেন, কবিতা খুব একটা পড়া হয় না। আবার কারও কারও মতে, উপন্যাস বেশি পছন্দের। কবিতার বইয়ে কেন যেন আনন্দ পান না।
অমর একুশে গ্রন্থমেলাতেই নাকি সারা বছরের বিকিকিনি করতে চান প্রকাশকেরা। এটি সত্য নাকি মিথ্যা সেই বিতর্কে না গিয়ে বলা যায়, এই এক মাসে যত বই প্রকাশ হয়, সারা বছরে তার সিকি ভাগও প্রকাশ হয় না। পরিসংখ্যান বলছে, প্রকাশিত বইয়ের বেশির ভাগই কবিতার। তুলনায় গল্প ও উপন্যাসের সংখ্যা কম।
এবারের বইমেলায় এখন পর্যন্ত নতুন কবিতার বই এসেছে ৭০৭টি, আর গল্প ও উপন্যাস মিলিয়ে এসেছে ৬২৩টি নতুন বই। কিন্তু বিক্রির দৌঁড়ে এগিয়ে কোন বই?
একাধিক প্রকাশনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কবিতার বই তুলনামূলকভাবে কম বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থা কেন, প্রশ্ন করা হলে জবাব দিতে পারেননি তারা।
মেলায় আরেক তরুণ জানালেন, কবিতা অনেক বেশি পড়া দরকার। এছাড়া কবিতার প্রেমিক যারা আছেন, তারা মেলায় বই বিক্রিতে গল্প-উপন্যাসের চেয়ে কবিতার বই পিছিয়ে আছে এমনটা মানতে নারাজ। তাদের মতে, যারা কবিতা বুঝেন, তারা ঠিকই কবিতার বই খুঁজে নেন। বইমেলায় এক নারী বলেন, যারা কবিতাকে জানতে চায়, কবিতার মাঝে নিজেকে খুঁজে পায়, তারা অবশ্যই কবিতা পড়ে।
দিন শেষে সবারই একটাই চাওয়া। শুধু প্রকাশের জন্যই নয়, কবিতা বা গল্প যাই হোক, লেখার মান যদি ভালো হয়, পাঠকের অভাব হবে না।
/এমএন
Leave a reply