বেনাপোল স্থলবন্দরে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি, বন্ধ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম

|

বেনাপোল কাস্টম অফিসেও অচলাবস্থা।

বেনাপোল স্থলবন্দর দ্বিতীয় দিনে গড়ালো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি। বন্ধ রয়েছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। এতে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। এরমধ্যে পচনশীল পণ্য থাকায় তা নষ্টের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর হলো বেনাপোল। ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের বড় অংশ সম্পন্ন হয় এ বন্দর দিয়ে। কিন্তু সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ ব্যবহারকারীদের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে বন্দরটি।

গত ২ মার্চ মিথ্যা ঘোষণায় অবৈধ পণ্য আমদানির অভিযোগে দুটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, একই অভিযোগে স্থগিত হয় আরও ৮টি এজেন্টের লাইসেন্স। এর প্রতিবাদে লাইসেন্স ফিরিয়ে দেয়া এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ব্যবহারকীরা। তারা বলছেন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আমদানিকারকের প্রতিনিধি, পণ্য আমদানির দায় তাদের নয়।

তবে এ নিয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন, পণ্যবাহী গাড়ির মধ্যে আমরা প্রায় ১ হাজার লিটার ফেনসিডিল ও প্রায় এক লক্ষ সিগারেট পাই, যা লুকায়িত অবস্থায় ছিল। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতো আমরা একটি ফৌজদারি মামলা করি।

একই ভাষ্য বন্দর কর্তৃপক্ষেরও। তারা বলছে, শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির আড়ালে মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ পণ্য আমদানি করায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বন্দর সচল রাখতে সবার সহযোগিতা চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। সিঅ্যান্ডএফের যৌক্তিক দাবি থাকলে বিবেচনার আশ্বাস কর্মকর্তাদের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply