ব্যস্ত জীবনে রান্নার জন্য খুব বেশি সময় খরচ করার অবকাশ নেই। এ ক্ষেত্রে প্রেশার কুকারই ভরসা। তবে রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী এই প্রেশার কুকার থেকেই কিন্তু ঘটে যায় বড় বিপদ! এমন কিছু খাবার আছে যা এই পাত্রে রান্না করা একেবারেই ঠিক নয়। কোন ধরনের খাবার রান্নার সময়ে প্রেশার কুকার এড়িয়ে চলবেন, চলুন জেনে নেয়া যাক-
দুগ্ধজাত খাবার
দ্রুত রান্না করার জন্য প্রেশার কুকার ব্যবহার করা হয়। দুধ অল্পতেই ফুটে উঠে উপচে পড়ে। তাই দুধ দিয়ে তৈরি যে কোনো রান্না প্রেশার কুকারে তৈরি করবেন না। পায়েস কিংবা হালুয়া কুকারে রান্না করতে গেলে দুধের সর আটকে গিয়ে ব্লাস্ট হতে পারে। এছাড়া সিটি দিয়ে দুধ বেরিয়ে এলে গ্যাসের বার্নারও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
ডিম
অনেকেই প্রেশার কুকারে ডিম সেদ্ধ করেন। প্রেশার কুকারে ডিম সেদ্ধ করতে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। ডিম সেদ্ধ করতে সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। একটি খোলা পাত্রে জল ফুটিয়ে তাতে ডিম সেদ্ধ করে নিন।
সবজি
শাকসবজির চেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং উপকারী আর কিছুই হয় না। তবে এগুলি কখনোই প্রেশার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। তাতে সবজির ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিগুণ ধ্বংস হয়ে যায়। টাটকা সবজির স্বাদও বদলে যায়।
মাছ
মাছ এমনিতেই খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। প্রেশারে মাছ রান্না করলে বেশি সেদ্ধ হয়ে ভেঙে যেতে পারে। মাছ বেশি সেদ্ধ হলে তার স্বাদ চলে যায়। এছাড়া মাছের পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়ে যায়।
ভাত
কুকারে অনেকেই ভাত রান্না করেন, যা শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল না! প্রেশার কুকারে ভাত রান্না করলে অ্যাক্রিলামাইড নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়, যার ফলে আমাদের শরীরে নানা গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। প্রেশার কুকারে রান্না করার সময় ভাত থেকে পানি বের করা হয় না। এই ভাত খেলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: যে কারণে প্রতিদিন খালি পেটে একটি করে এলাচ খাবেন
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/
Leave a reply