রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ থেকে ভাড়াটে সেনা আর স্বেচ্ছাসেবক যোগ দিচ্ছে ইউক্রেনে। এসব যোদ্ধাদের বেশিরভাগই লড়াই করেছেন ইরাক ও আফগানিস্তানে। শুধু যোদ্ধাই নয়, মানবিক কাজে সহায়তার জন্যও ইউক্রেনে ভিড় করছেন প্রকৌশলী-চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। খবর সিএনএনের।
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যখন ইউক্রেন ছাড়তে লাভিভ রেলস্টেশনে ভিড় হাজারো মানুষের; তখন ব্যতিক্রম এই কয়েকজন। পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতিতে থাকা এই ব্যক্তিরা মূলত স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা। লক্ষ্য ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা জ্যাক্স বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ করছে রাশিয়া। তাই নিজের জীবন আর পরিবারের মায়া ত্যাগ করে এখানে এসেছি। যেভাবেই হোক রুশ আগ্রাসন ঠেকাবো।
ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব ভাড়াটে সেনা কিংবা স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধারা লড়বেন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পক্ষ হয়ে। যাদের অনেকেই যুদ্ধ করেছেন ইরাক ও আফগানিস্তানে।
স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা বেন গ্র্যান্ট বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইরাকে লড়াই করেছি। ছুটিতে বাড়িতেই ছিলাম পরিবারের সাথে। যখন দেখলাম ইউক্রেনে তাণ্ডব চালাচ্ছে রুশ বাহিনী, তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি, ছুটে এসেছি লড়াই করতে।
শুধু সামরিক সদস্যই নয়, ইউক্রেনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে আসছেন প্রকৌশলী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। যাদের লক্ষ্য আহত ইউক্রেনীয়দের সহায়তা করা।
মার্কিন স্বেচ্ছাসেবক মাইকেল ফেরকল বলেন, এখানে আহতদের সহায়তায় ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম এনেছি। যুদ্ধাহতদের কীভাবে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া যায় সেই প্রশিক্ষণ আছে আমার। তাই ভাবলাম এখানকার অসহায় মানুষদের সহায়তা করি।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানান, প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধা যোগ দিচ্ছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউএইচ/
Leave a reply