রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেনের বন্দর নগরী মারিওপোলে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। এত মরদেহ কবর দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়েই দিতে হচ্ছে গণকবর। একের পর এক হামলায় মারিওপোল পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় চলছে ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে। গণমাধ্যমের খবরে দেখা যায়, ২৫ মিটার দীর্ঘ একটি কবর খোঁড়া হয়েছে, যার পাশে কবরে একের পর এক স্তুপ করে রাখা হচ্ছে মরদেহ। কিছুক্ষণ পরপরই স্বেচ্ছাসেবী কিংবা স্বজনরা নিয়ে আসছে মরদেহ। এভাবেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে দেয়া হচ্ছে গণকবর।
কর্তৃপক্ষ বলছে, রুশ আগ্রাসনে ৪ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দার মারিওপোলে প্রাণ হারিয়েছে ১২শর বেশি মানুষ। এছাড়া স্বাভাবিক মৃত্যু তো রয়েছেই। এত পরিমাণ মরদেহ আলাদা কবর দেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে গণকবরের ব্যবস্থা।
সমাজকর্মীরা বলছেন, এ যুদ্ধের জন্য কে দায়ী আর কে যুদ্ধ শুরু করেছে তা জানার দরকার নেই তাদের। তারা শুধু চান এসব শেষ হোক।
রুশ বাহিনীর টানা হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বন্দরনগরী মারিওপোল। অনেকেই হারিয়েছেন মাথা গোঁজার ঠাঁই। বিদ্যুৎহীন গোটা শহরে খাবার ও পানির তীব্র সংকট। যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদেরও দিন কাটছে আতঙ্কে। শহরটির মেয়র বলছেন, পানি নেই, গ্যাস নেই, খাবার নেই। প্রচন্ড ঠান্ডায় আমরা জমে যাচ্ছি। বাড়ির উঠোনে মরদেহ দাফন করা হচ্ছে। খুবই ভীতিকর পরিস্থিত। আমি এভাবে বাঁচতে চাই না।
ইতোমধ্যে কেউ কেউ প্রাণভয়ে শহর ছাড়লেও অনেকেই জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। তাদের আশা, একদিন শান্তি ফিরবে প্রিয় শহরে, আবারও ঘুরে বেড়ানো যাবে স্বাধীনভাবে মুক্ত বাতাসে।
/এডব্লিউ
Leave a reply