পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে যেন পাত্তাই দিচ্ছে না রাশিয়া। দেশটির দাবি, এসব নিষেধাজ্ঞায় তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়বে। উল্টো রাশিয়া তেল ও গ্যাস রফতানি বন্ধ করলে বিপাকে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়ার দাবি, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য শাপে বর হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালি অর্থনীতির এ দেশটি কোনো নিষেধাজ্ঞাকে যেন পাত্তা দিচ্ছে না। পুতিন বলছেন, এসব পদক্ষেপে রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বনির্ভর করবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা বলছে, পশ্চিমারা আমাদের যেসব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেসব ক্ষেত্রে আমরা দক্ষ হয়েছি। তাই নতুন করে দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো আমাদের আরও বেশি শক্তিশালী করবে। প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পশ্চিমারা আমদানি বন্ধ করায় দেশটিতে দেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়বে। আর তাই, অর্থনৈতিকভাবে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীলতা আরও কমবে। রুশ অর্থনীতিবিদ মিখাইল ডেলিয়াগিন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য নতুন এ পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়া, আমদানির বিকল্প খুঁজে বের করা। বিদেশি পণ্যের পরিবর্তে দেশি পণ্য ব্যবহারেও নজর দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। এসব ইস্যুতে চীনের সাথেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।
রাশিয়ার দাবি, বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের মালিক রাশিয়া রফতানি বন্ধ করলে তাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পশ্চিমারাই। এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার জন্য বড় কোনো হুমকি নয়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মূল বাজার নয়। আর ইউরোপও যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুসরণ করতে পারে না। বরং যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাথে যা করছে ইউরোপের সাথে আমাদের তা করা উচিত। তেল ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। এতে উল্টো তারাই চাপে পড়বে।
এদিকে, যেসব বিদেশি কোম্পানি রাশিয়াকে চাপে ফেলতে দেশটি থেকে ব্যবসা গুঁটিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুতিন সরকার। এসব কোম্পানির সম্পদ জব্দ করে জাতীয়করণ করার হুমকি দিয়েছে মস্কো। তাই অনেকের মত, রাশিয়াকে চাপে ফেলতে গিয়ে এখন উল্টো চাপে পশ্চিমারা।
/এডব্লিউ
Leave a reply