পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের লিভিভ অঞ্চলের ইয়াভোরিভের সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে রুশ হামলায় ১৮০ জন ‘বিদেশি ভাড়াটে’ নিহত হয়েছে এবং বাইরের দেশগুলো থেকে সরবরাহ করা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করছে রাশিয়া।
রোববার (১৩ মার্চ) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ একটি ব্রিফিংয়ে বলেন, কিয়েভের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়া বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাবে রাশিয়া। যাকে তিনি বিদেশি ভাড়াটে বলে অভিহিত করেন।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা ১৮০ বলা হলেও ইউক্রেনের আঞ্চলিক গভর্নর ম্যাকসিম কোজিটস্কি এর আগে একটি ভিন্ন মৃত্যুর সংখ্যা প্রদান করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রুশ হামলায় ৩৫ জন নিহত ও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন।
হামলার পর ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকভ বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণ করা পশ্চিম ইউক্রেনের সামরিক ঘাঁটিতে বিদেশি সামরিক প্রশিক্ষকরা কাজ করছেন। হামলায় হতাহতদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় রাশিয়াকে কঠোর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
এদিকে ন্যাটোতে নিযুক্ত জাতিসংঘের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত কার্ট ভলকার বলেছেন পোল্যান্ড সীমান্তে রুশ হামলার লক্ষণ হচ্ছে রাশিয়ান রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ‘আরও বেপরোয়া’ হয়ে উঠছেন।
ভলকার আরও বলেন, পুতিন জানেন এই হামলাটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ, এর মাত্র ২০ কিলোমিটার উত্তরেই পোল্যান্ড, যেটি ন্যাটো সদস্য। হামলার ঘটনা পুতিনের বিপজ্জনক মানসিক অবস্থাই প্রতিফলিত করে। সূত্র: আল জাজিরা।
জেডআই/
Leave a reply