পোল্যান্ড সীমান্তের কাছেই রুশ হামলার পর ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দেখা দিলো নতুন শঙ্কা। এতোদিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে লড়াই চললেও রুশ বাহিনী এই প্রথম হামলা চালালো পশ্চিমাঞ্চলে। যেখান থেকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্ত মাত্র কয়েক কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েও যদি পোল্যান্ডে আঘাত হানে তার পরিণাম কী হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্লেষকরা।
ইউক্রেনের আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে এখন সবচেয়ে নিরাপদ বলে বিবেচিত প্রতিবেশী পোল্যান্ড। ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশটিতে গত দুই সপ্তাহে আশ্রয় নিয়েছে সাড়ে ১৬ লাখের বেশি মানুষ।
তবে প্রতিবেশী পোল্যান্ডের পথেও এখন হামলা আতঙ্ক। রোববার প্রথমবারের মতো পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি। পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে এই হামলার কারণ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কেউ বলছেন, রাজধানীকে চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যেই হামলা। অনেকে বলছেন, রুশদের উদ্দেশ্য শুরু থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে সোচ্চার পোল্যান্ডকে চাপে রাখা। এই ডামাডোলের মধ্যেই রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাশিয়াকে সতর্ক করেছে পোল্যান্ড।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা এমন পরিস্থিতিতে সতর্কবাণী দিয়ে বলেন, আমাদের সবারই প্রত্যাশা যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন রাসায়নিক বা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন পুতিন। কারণ কোনোভাবে এই মারণাস্ত্রের ব্যবহার হলে ঘরে বসে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো। তখন গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে যুদ্ধ পরিস্থিতি। লেগে যাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য বলে পোল্যান্ডের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ইউক্রেন আইপ্রণেতাদের দাবি, শুধু তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েই ক্ষান্ত হবে না রাশিয়া।
ইউক্রেনের একজন এমপি লোসিয়া ভাসলিনকো বলেন, রাশিয়ার বার্তা আমাদের কাছে খুবই পরিষ্কার। তারা শুধু ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়েই থামবে না। একে একে পূর্ব ইউরোপের সব দেশেই হামলা চালাবে পুতিন সরকার। আর পোল্যান্ডে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই হামলা চালাবে বলে মনে করছি।
রুশ অভিযান শুরুর পর থেকেই ন্যাটো এবং পশ্চিমাদের যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। তবে যুদ্ধ গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় সেই আহ্বানে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি ন্যাটো।
/এডব্লিউ
Leave a reply