নোয়াখালীতে ১৮ হাজার লিটার তেল মজুদ, ব্যবসায়ীর অর্থদণ্ড

১৮ হাজার লিটার তেল মজুদ করায় অর্থদণ্ড দেয়া হয় ব্যবসায়ীকে।

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েল মজুদ রাখার অপরাধে মেসার্স বিজয়া ভাণ্ডারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর নোয়াখালী। একইসাথে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করে দেয়া হয়।

সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেনের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, ভোজ্যতেল কালোবাজারি, মজুদ ও ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা শাখা। অভিযানকালে চৌমুহনী দক্ষিণ বাজারের ব্যাংক রোডের তোতা মিয়ার গলিতে অবস্থিত মেসার্স বিজয়া ভাণ্ডারের একটি গোডাউনে থাকা ৮৮টি ড্রামে প্রায় ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন ও পাম অয়েল মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়।

ভোক্তা অধিকার জেলা সহকারি পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল বিক্রি না করে বাজারে সংকট রেখে বেশি লাভের আশায় অবৈধভাবে নিজের একটি গোডাউনে তেলগুলো মজুদ করে রাখে বিজয়া ভাণ্ডারের মালিক রাজেশ বনিক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরে বাজারের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জামালপুরে ৮১ হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুদ, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

এম ই/