পদ্মা সেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে ৭টি পুনর্বাসন কেন্দ্র। এসব পুনর্বাসন কেন্দ্রে জমি বরাদ্দ পেয়েছে ৩ হাজার ১১টি পরিবার। পদ্মা সেতু নির্মাণে যারা জমি দিয়েছেন, তাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা-চিকিৎসাসহ সব মৌলিক চাহিদার ব্যবস্থা। শহরের মতো সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে সন্তুষ্ট বাসিন্দারাও। তবে প্রকল্প শেষে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি তাদের।
শরিয়তপুরের নাওডোবা পুনর্বাসন কেন্দ্রকেও আধুনিক পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি বাড়ির পাশে ফলদ-বনজ গাছ বেড়ে উঠেছে। ঘন সবুজের মধ্যে প্রশস্ত পিচ ঢালা সড়ক ঘেঁষে পাকা-আধাপাকা আর টিনশেড বাড়ি। রয়েছে বিদ্যুৎ, সাপ্লাই পানি, ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।
এছাড়াও আছে বিশাল খেলার মাঠসহ শিশুশিক্ষার ব্যবস্থা। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আছে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। আছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও বিশাল মার্কেট শেড। সেই সাথে বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুযোগ আছে এখানে। এতো সব সুবিধার পরও বাসিন্দাদের মাঝে ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে দুঃশ্চিন্তা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এসব পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর দেখভালের বিষয়ে তাদের মধ্যে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে পুনর্বাসন কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা কমিটি দায়িত্ব নেবে বলে জানালেন কেন্দ্রের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইএসডিও এর টিম লিডার আবু জাফর। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে এর আনুষঙ্গিক যত খরচ সেসব যাতে ব্যবস্থাপনা কমিটি বহন করতে পারে তার জন্য তাদের কাছে আমরা দায়িত্ব হস্তান্তর করবো।
এসজেড/
Leave a reply