ইউরোপে খাদ্য সংকটের শঙ্কা

|

ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশ নয়, খাদ্য সংকটে পড়ার শঙ্কা রয়েছে খোদ ইউরোপের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা FAO জানিয়েছে এমন শঙ্কা। সংস্থাটির বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।

সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভেঙ্গে গেছে গম ও ভুট্টা সরবরাহে শীর্ষে থাকা দেশ দু’টির শস্য উৎপাদন ও রফতানির অবকাঠামো। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে।

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব পড়ছে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায়। বিশ্বের অন্যতম শস্য উৎপাদনকারী দুই দেশের বিরোধে পাল্টে গেছে সব হিসেব নিকেশ। খোদ ইউরোপের দেশগুলোতেই দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশটি থেকে গম ও ভুট্টা রফতানি। অন্যদিকে, যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া গুরুত্ব দিচ্ছে নিজস্ব চাহিদার দিকে। ফলে রাশিয়া থেকেও শস্য রফতানি হচ্ছে না। অথচ দেশ দু’টির গম ও ভুট্টার প্রধান আমদানিকারক ইউরোপের দেশগুলো। বৈশ্বিক গম রফতানির ৩০ শতাংশই হয় দেশ দু’টি থেকে। এমনকি মোট সয়াবিনের ৮০ শতাংশই সরবরাহ করে ইউক্রেন ও রাশিয়া।

এফএও এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টরেরো বলেন, শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ১ম অবস্থান রাশিয়ার। আর ৫ম অবস্থানে ইউক্রেন। এই দু’টি দেশে উৎপাদিত শস্যের প্রধান বাজারই ইউরোপ। যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দামের সাথে বাড়ছে শস্য উৎপাদন খরচও। দেশ দু’টি থেকে রফতানি বন্ধ থাকায় মজুদ পণ্যের ওপরও পড়ছে প্রভাব। এতে ভেঙে পড়েছে পুরো সাপ্লাই চেইন।

যুদ্ধের ৩ সপ্তাহ যেতে না যেতেই এর প্রভাব টের পেতে শুরু করেছে ইউরোপ। এরইমধ্যে দেশগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। জাতিসংঘের শঙ্কা এটা ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ম্যাক্সিমো টরেরো আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো তাদের রফতানির পরিমাণ বাড়াবে কিনা। এরইমধ্যে আর্জেন্টিনা এবং ভারত গম রফতানির ঘোষণা দিয়েছে। তবে এসব উদ্যোগের ফলে বৈশ্বিক চাহিদার কতটুকু পূরণ হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

শুধু তাই নয় বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত সারের ২৫ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় এখন তাও বন্ধ। যার প্রভাবও পড়ছে বৈশ্বিক কৃষি ব্যবস্থাপনায়।

আরও পড়ুন: ইউক্রেনের বড় শহরগুলো যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে রাশিয়া: ক্রেমলিন

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply