রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানো বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ: জার্মান রাষ্ট্রদূত

|

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানো বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রষ্টার। তিনি জানিয়েছেন, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি দ্রুত ও কার্যকর প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে তার দেশ। তবে, ভূ-রাজনীতির জটিল সমীকরণে দ্রুত রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে না বলে মনে করে তিনি।

অচিম ট্রষ্টার বলেছেন, এর সমাধান সত্যিই কঠিন। এর পেছনে অনেক ধরনের ভূরাজনৈতিক কারণ বিদ্যমান। এটা কেবল বহুপাক্ষিক বিষয়ও না। হয়তো শেষ পর্যন্ত প্রত্যাবাসন হবে। কিন্তু খুব দ্রুতই তা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আমরা দেখছি না।

রোহিঙ্গা সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপক্ষীয় কিংবা বহুপাক্ষিক— কোনো উদ্যোগই এখনও সফলতার মুখ দেখেনি। চার-পাঁচ বছরে মিয়ানমারে ফেরেনি একজন রোহিঙ্গাও।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান এবং করোনা মহামারি, এই দুই কারণে প্রায় দু’বছর স্থগিত ছিল সব ধরনের আলোচনা। নতুন করে আবারও শুরু হয়েছে তা। বলা হচ্ছে, পরীক্ষামূলকভাবে কিছু রোহিঙ্গা ফিরবে মিয়ানমারে। তবে এটা যে কার্যকর সমাধান না, সেটি মনে করিয়ে দিলেন এই পশ্চিমা কূটনীতিক।

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির এ রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রত্যাবাসন শুরুর আগে অনেক কাজ থাকে। সেটার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। রাষ্ট্রহীন এসব মানুষকে কর্মমুখী শিক্ষা দিতে হবে। এসব করতে না পারলে দেশে ফিরিয়েও লাভ হবে না। এসব কাজে আমরা সহায়তা অব্যাহত রাখবো।

রোহিঙ্গা নির্যাতনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা আছে মিয়ানমারের ওপর। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন ফোরামেও সোচ্চার পশ্চিমারা। তবে জার্মানি ছাড়া সব দেশই মিয়ানমারে অব্যাহত রেখেছে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ।
২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে এখন প্রায় ১২ লাখের মতো মিয়ানমারের নাগরিক বসবাস করছেন এ দেশে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply