১৫টি শর্তকে কেন্দ্র করে হতে পারে রুশ-ইউক্রেন সমঝোতা। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ইউক্রেনের সামরিক পরিধি সীমিত করাসহ নিরপেক্ষতা ঘোষণার মতো শর্তগুলোই এক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে। এমনকি ন্যাটোও বলছে, কিয়েভের কোনো সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না সামরিক জোটটি।
তুরস্কের মধ্যস্ততায় কিয়েভ-মস্কো বৈঠকের পর পট পরিবর্তনের আভাস আসে রুশ-ইউক্রেন সংঘাতে। সমঝোতার জন্য দুই দেশের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত মেলার পর চলছে হিসেব-নিকেশ।
মস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া শর্তে বলা হয়, নিরপেক্ষতা ঘোষণা করতে হবে ইউক্রেনকে। ন্যাটোতে যোগদানে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর পরিধিও সীমিত করতে হবে ইউক্রেনকে। এর পাশাপাশি থাকবে না অন্য কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটি। এসব শর্ত মানলেই ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে রাশিয়া।
এদিকে, সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে এমন সুর ছিল তার কণ্ঠেও। সমঝোতার শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন ইউক্রেনের রুশভাষীদের নিরাপত্তার বিষয়টিও। সংঘাতের জন্য দায়ী করেন পশ্চিমা শক্তিকে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত। কিন্ত আলোচনায় না বসে কিয়েভ হেঁটেছে সংঘাতের পথে। পশ্চিমা উসকানিতেই মস্কোর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে কিয়েভ। আমরা সমঝোতার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই, ভয়ে পিছু হটছে রাশিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগুচ্ছে আমাদের সামরিক অভিযান।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি স্পষ্ট করেন ন্যাটোতে যোগ না দেয়ার বিষয়টি। কিয়েভ-মস্কো আলোচনায় অগ্রগতি ও সমঝোতার আভাসের পর নড়চড়ে বসেছে ন্যাটোও।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পুতিনের লক্ষ্য ন্যাটোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তাতে তিনি সফল হবেন না। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে চায় কি চায় না, সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে দেশটির সরকারের ওপর। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাতে ন্যাটোর পুরোপুরি সমর্থন থাকবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং সামরিক বাহিনীর পরিধি সীমিত করার ইস্যুটি সমঝোতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হতে পারে।
/এমএন
Leave a reply