ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৩৫ হাজার পরিবার পাচ্ছে ফ্যামিলি কার্ড। জেলার ১৫ উপজেলা এবং মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডে দেয়া হবে ফ্যামিলি কার্ড। নগরীর প্রতি ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ সাড়ে চার হাজার কার্ড। চাহিদা আরও বেশি। ফলে প্রথম ধাপে কার্ড স্বল্পতা, নানা শর্ত ও সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন কাউন্সিলররা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল জানান, সাড়ে চার হাজার কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তার ওয়ার্ডে। কিন্তু দরিদ্র মানুষের কাছে এ সুবিধা পৌঁছে দেয়া তার পক্ষে কঠিন।
মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে বর্তমানে চলছে কার্ড তৈরির কাজ। উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং নগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মাধ্যমে বিতরণ হচ্ছে এ কার্ডের ফরম। তবে বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, নানা শর্ত আর জটিলতায় ফরম পাননি ভাসমান ও সুবিধাবঞ্চিত বেশিরভাগ মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্দরনগরীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ফ্যামিলি কার্ড নামে ভিন্ন রূপে শুরু হচ্ছে এ কার্যক্রম।
চসিকের পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন বলেন, আমি মাইকিং করে দিয়েছি, যারা যারা আগ্রহী তারা যেন কার্ড করে।
ভাসমান ও দরিদ্র মানুষেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কার্ডের ফরম না পাওয়ায়। চট্টগ্রাম টিসিবি ডিলার সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম রাশেদ জানান, কার্ড পদ্ধতি চালু হলে অব্যবস্থাপনা দূর হবে। ভাসমানদের জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন টিসিবির ডিলাররা। আগামী ২০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরুর কথা রয়েছে।
/এমএন
Leave a reply