পাহাড়ের অবহেলিত এক জনপদ বড়থলি। ২০১৫ সালে ইউনিয়ন গঠনের পর নির্বাচন হয়েছে একবার। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি শুন্য এই জনপদ। বড়থলি ইউনিয়নের মানুষ এখন নতুন চেয়ারম্যানের অপেক্ষায়। স্থানীয়দের মৌলিক চাহিদা আর দাবি দাওয়া শোনার কেউ নেই দুর্গম এলাকায়।
মারমা, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, বমসহ নৃ-গোষ্ঠির প্রায় আড়াই হাজার মানুষের বসবাস বড়থলি ইউনিয়নে। পাহাড়বেষ্টিত ৯টি ওয়ার্ডে জীবিকার উৎস জুম চাষ আর গবাদি পশু পালন। ২০১৫ সালে ফারুয়া ইউনিয়ন ভেঙে নতুন প্রশাসনিক পরিচিতি পায় বড়থলি। প্রশাসনিকভাবে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ভৌগলিকভাবে বান্দরবানের সীমানায় পড়েছে বসতিগুলো। তাই দুই সদরেই যাওয়া আসা পাড়ার বাসিন্দাদের। বিশেষ সেবা তো দূরের কথা, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ মৌলিক চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ হয় না এখানে।
সড়ক যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কোনো কর্মকর্তার পা পড়ে না বনাঞ্চলে। যেকোনো দাপ্তরিক কাজে দুর্গম এলাকার মানুষকে দুই দিন হেঁটে যেতে হয় জেলা সদরে।
অথচ এতো বঞ্চনার কথা শোনার কেউ নেই। ইউনিয়ন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিরূপ আবহওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ে আর ভোট হয়ে ওঠেনি। তাই নির্বাচিত প্রতিনিধি পায়নি এখানকার মানুষ, অধরাই থেকে গেছে দাবি দাওয়া।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে একজন জনপ্রতিনিধি পেলে পিছিয়ে পড়া জনপদ কিছুটা হলেও অগ্রসর হবে। সারা দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে তার ছোয়া লাগবে দুর্গম জনপদে।
এসজেড/
Leave a reply