মহাকাশে রুশ-মার্কিন নভোচারীদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক

|

পৃথিবীতে বৈরী সম্পর্ক হলেও মহাকাশে সদ্ভাব যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দুই দেশের নভোচারীদের। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে একসাথে কাজ করছেন দুই দেশের মহাকাশচারীরা। ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও কোনো প্রভাব ফেলেনি তাদের ওপর। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও নিষেধাজ্ঞার জেরে বাধাগ্রস্ত হতে পারে এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, এমন শঙ্কাও রয়েছে। খবর এপি ও রয়টার্সের।

বরাবরই বৈরি সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার মধ্যে, তা আরও অবনতি হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে। তবে পৃথিবীর সংঘাতের প্রভাব পড়েনি মহাকাশে। আইএসএস মিশনে মিলেমিশে কাজ করছেন রুশ-মার্কিন নভোচারীরা।

সোয়ুজ ক্যাপসুলে চেপে গত শুক্রবার নিরাপদে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছান তিন রুশ নভোচারী। তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন আগে থেকেই সেখানে থাকা ৭ জন। যাদের মধ্যে চার জন মার্কিনী, দু’জন রুশ আর একজন জার্মান নাগরিক। সাড়ে ছয় মাসের মিশনে গিয়েছে নতুন দলটি। তাই আগে থেকেই মহাকাশে থাকা নভোচারীদের তিন জন ফিরবেন ৩০ মার্চ। তাদের মধ্যে আবার দু’জন রাশিয়ার ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তারা সবাই রুশ স্পেসক্র্যাফ্টে ফিরবেন রাশিয়ার উৎক্ষেপণ কেন্দ্রেই।

নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেন, সবকিছুর পরও মহাকাশ গবেষণায় রুশ সহকর্মীদের সঙ্গে মার্কিনীদের সম্পর্ক সহযোগিতামূলক। তাদের পেশাগত সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ভালো একটি উদাহরণ হলো, আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশনে একসঙ্গে কাজ করছে রুশ আর মার্কিনিরা। আশা করছি পৃথিবীতে দেশগুলোর মধ্যে যে সংকট চলছে, শিগগিরই তার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ২৩ বছর ধরে কাজ করছে আইএসএস মিশনে। তবে চলমান উত্তেজনা-নিষেধাজ্ঞার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এই সহযোগিতামূলক প্রকল্প, এমন শঙ্কা জোরালো হচ্ছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ও রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস’কে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে স্পেস শিল্পকে।

এরইমধ্যে, মঙ্গলগ্রহে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ অভিযান স্থগিত করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)। জবাবে জার্মানির সঙ্গে গবেষণা বাতিল করেছে রাশিয়া। বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে রকেট ইঞ্জিন সরবরাহ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply