নেত্রকোণায় দেশি জাতের মাছ চাষে খনন করা হচ্ছে পরিত্যক্ত জলাশয়

|

খনন হচ্ছে পরিত্যক্ত জলাশয়।

দেশি জাতের মাছ সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়াতে চায় মৎস্য অধিদফতর। তাই খনন করা হচ্ছে নেত্রকোণার পরিত্যক্ত জলাশয়। এতে কৃষি জমিতে সেচের সুবিধা বাড়বে। খননকৃত জলাশয় ইজারা না দিয়ে উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। প্রকল্প পরিচালক বলছেন, সারা জেলার পরিত্যক্ত অন্য জলাশয়গুলোও খননের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

দেশি প্রজাতির মাছ যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্যই এই উদ্যোগ মৎস্য অধিদফতরের। নেত্রকোণায় সংস্কারের আওতায় এসেছে ২৭টি জলাশয়। এতে বাড়বে মাছের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি অনেকেই স্বামলম্বী হয়েছেন সেখানে।

জেলার ৩৫ হেক্টর জলাশয়ে চলছে মাছ চাষ। চুক্তিভিত্তিক ভূমিহীন সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্প সারা জেলায় ছড়িয়ে দিতে চায় মৎস্য কর্মকর্তারা।

নেত্রকোণা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আরও বেশ কিছু প্রকল্প আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছি। সেগুলো যদি বাস্তবায়নের নির্দেশ আসে তাহলে এমন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলাশয় পুনঃখনন হলে দেশীয় প্রজাতির মাছের চাষ বাড়বে। পাশাপাশি কৃষি জমিতে সেচের চাহিদা পূরণ হবে। জেলার ছোট-বড় ৫৭টি পরিত্যক্ত জলাশয় খনন করে দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির দাবী স্থানীয়দের।

এ নিয়ে ঢাকার মৎস্য অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক আলীমুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এই ধরনের প্রকল্পের উদ্দেশ্য মূলত দুটি। কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং অতিরিক্ত মৎস্য উৎপাদন। এজন্য ১২ মাস পানি না থাকা পতিত জলাশয়গুলো আমরা খনন করে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে যদি জেলা ও উপজেলা পর্যায় থেকে প্রস্তাব যায়, তাহলে এমন প্রকল্প আমরা চালু রাখবো।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply