শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুর শহরের চর পালং এলাকায় এক বখাটের হামলায় আহত তরুণী মারা গেছেন। নিহত কাকলি আক্তার (১৮) শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরিবার থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। সোমবার (২১ মার্চ) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার।
রোববার (২০ মার্চ) ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিনই তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এর আগে, জাহিদুল ইসলাম (২২) নামে এক তরুণ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে ওই তরুণীকে কুপিয়ে আহত করে। পরিবারের অভিযোগ, কাকলিকে দীর্ঘদিন ধরেই উত্ত্যক্ত করে আসছিল জাহিদুল। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিয়ে ঠিক করা হয়। কাকলিকে বিয়ে করতে না পেরে ক্ষুব্ধ এই তরুণ তার ওপর হামলা করে। হামলাকারী জাহিদুল শরীয়তপুর পৌরসভার কাশাভোগ এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুর শহরের চর পালং এলাকার বাসিন্দা নুরুজ্জামান মাদবরের মেয়ে কাকলি আক্তার। শরীয়তপুর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসারই সাবেক ছাত্র জাহিদুল ইসলাম ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করত। তাকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছে প্রস্তাবও দেয় সে। কাকলির পরিবার তাদের মেয়েকে জাহিদুলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। তাই কাকলিকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয় তার পরিবার। এতে ক্ষুব্দ হয় জাহিদুল।
এরই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে জাজিদুল কাকলিদের বসত ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে এলাকার মানুষ এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতা জাহিদুলকে আটক করে গনপিটুনি দেয়। এতে বেশ আহত হয় জাহিদুল।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল কাকলিকে। অবস্থার আরও অবনতি হলে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। রোববার ভোরে সেখানেই তরুণীর মুত্যু হয়।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আক্তার হোসেন বলেন,তরুনিকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেছিলেন তার ভাই। ওই মামলায় জাহিদুলকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তর করা হবে।
এসজেড/
Leave a reply