আবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো রাশিয়া, ধ্বংস ইউক্রেনের সামরিক জ্বালানির ডিপো

|

ছবি: সংগৃহীত

আবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এবার লক্ষ্য মাইকোলাইভের একটি তেলের ডিপো। ক্রাইমিয়া এলাকা থেকে একটি মিগ-৩১কে বিমান থেকে কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। মুহূর্তে তা ধ্বংস করে দেয় বিরাট জ্বালানি তেলের গুদামকে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে ইউক্রেন। খবর আলজাজিরার।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন, কিনঝাল (ড্যাগার) হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি মাইকোলাইভের কৃষ্ণ সাগর বন্দরের কাছে কোস্তিয়ানতিনিভকায় ইউক্রেনের জ্বালানী ডিপোতে আঘাত করেছে।

ইগর কোনাশেনকভ আরও জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইউক্রেনের যাবতীয় সাঁজোয়া গাড়ির জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো এই ডিপো থেকেই। ক্ষেপণাস্ত্র তা ধ্বংস করে দিয়েছে।

এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বার শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুতগতি সম্পন্ন ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার হাইপারসনিক কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো রাশিয়া। গত শুক্রবার প্রথমবার কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনে ডেলিয়াটিনের অস্ত্রভাণ্ডার। এবার লক্ষ্য হলো দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন প্রদেশের প্রতিবেশী মাইকোলাইভ প্রদেশের একটি জ্বালানি তেলের ডিপো।

আধা টন ওজনের এই ক্ষেপণাস্ত্র ২৬ ফুট লম্বা। রাশিয়ার দাবি, কিনঝল ক্ষেপণাস্ত্রকে রোখার ক্ষমতা নেই পশ্চিমা কোনো দেশেরও।

যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের দাবি, ২০১৬ সালে সিরিয়ায় প্রথমবার এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়া। তবে মস্কো এবারও একই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে কিনা তা জানা যায়নি। কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্রের কথা জানান ২০১৮ সালে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যে কোনো বিষয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তার আশঙ্কা, এবারও শান্তি বৈঠক নিষ্ফল হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় প্রস্তুত, ব্যর্থ হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ: জেলেনস্কি
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply