দেশে ভোজ্যতেলের বাজার এখনও পুরোপুরি ধাতস্থ হয়নি। তাই রান্নায় এই ‘মহামূল্য’ ভোজ্যতেলের খরচ বাঁচানোর জন্য কম পরিমাণে ব্যবহার করছেন নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত সবাই। তবে কিছু পদ্ধতি আছে যা মেনে চলছে, রান্নায় স্বাভাবিকভাবেই তেল কম লাগে।
চলুন জেনে আসি, রান্নাবান্নার কাজে তেলের ব্যবহার কমানো ৫টি পদ্ধতি-
১। রান্নার ক্ষেত্রে ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন, এতে তেল খুব কম লাগে। এই ধরনের কড়াইতে অল্প তেলে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে দ্রুত রান্না করা যায়। খাবারের স্বাদও কিন্তু দারুণ হয়। তাই প্রতিদিনের সব ধরনের রান্নায় ননস্টিকের কড়াই ব্যবহার করতে পারেন।
২। চামচে মেপে তেল ব্যবহার করতে পারেন। রান্নায় অতিরিক্ত তেল দিলেই যে তার স্বাদ বেড়ে যায় এই ধারণা ভুল। যেই বোতলে তেল রাখা থাকে সেখান থেকেই সরাসরি তেল নিয়ে আমরা রান্নায় ব্যবহার করি। এই অভ্যাস কিন্তু একেবারেই ভালো নয়। এ ক্ষেত্রে রান্নায় তেল অনেক ক্ষেত্রেই বেশি পড়ে যায়। তাই চামচে মেপে তেল ব্যবহার করুন। তেলের বোতলের মুখে তেল মেপেও রান্না করতে পারেন। তবে ডুবো তেলে রান্না না করে, অল্প তেলে ঢেকে রান্না করাই ভালো।
৩। মুরগি হোক কিংবা মাছ অনেকেই এখন বেক করে খান। বিশেষত যারা ডায়েট করছেন। কষিয়ে রান্না করতে গেলে অনেকটা বেশি তেল লাগে। তাই তেলের ব্যবহার এড়াতে মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিতে পারেন। নামমাত্র তেল কিংবা মাখনেই বেক করা যায়।
৪। যেকোনো সব্জি ভাজার আগে ভাপিয়ে নিন। এতে রান্না করতে যেমন কম সময় লাগে তেমনই কিন্তু তেলও খুব কম লাগে। পুষ্টিগুণও বজায় থাকে। মাছ, ডিম, পনির কিংবা মুরগির বিভিন্ন পদও ভাপেই রান্না করা যায়। এই পদ্ধতিতে রান্না করলে তেলের সাশ্রয় হয়।
৫। রান্নার বেশ কিছুক্ষণ আগে মাছ বা মাংসে মশলা মাখিয়ে রেখে দিন। এতে রান্নার স্বাদও বাড়ে আর তেলেও কম লাগে। এ ক্ষেত্রে মশলা মাখানোর সময় দইয়ের ব্যবহার করতে পারেন। দই ব্যবহার করলে রান্নায় খুব বেশি তেল না দিলেও চলে।
এসজেড/
Leave a reply