দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায় ঢাকা উত্তর সিটির নগরবাসীরা এখন থেকে খুব সহজেই তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের ফি পরিশোধ করতে পারবেন নগদ অ্যাপে।
রোববার (২০ মার্চ) নগর ভবনের কনফারেন্স হলে ডিএনসিসি ও ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর মধ্যে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় চুক্তিপত্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন নগদ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া।
অনুষ্ঠানে নগদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজনেস সেলসের প্রধান মো. সাইদুর রহমান দিপু, কি স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট প্রধান এসকিউএন এলডিআর আসমা আলমগীর (অব.) ও স্ট্র্যাটেজিক সেলসের প্রধান এ.বি.এম. মান্নাফ পরাগ। অন্যদিকে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ডিএনসিসির সচিব (যুগ্ম-সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম, পিএসসি; ধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ উল ইসলাম, (এন), এনপিপি, পিসিজিএম, পিসিজিএমএস, পিএসসি, বিএন।
ডিএনসিসির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১ এপ্রিল থেকে সরাসরি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স অথবা গৃহকর পরিশোধ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে, হোল্ডিং ট্যাক্সের ফি কেবলমাত্র অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। তাই নগদের সাথে ডিএনসিসির চুক্তি অনুযায়ী, ডিএনসিসির বাসিন্দারা আগামী ১ এপ্রিল থেকে ডিএনসিসি হোল্ডিং ট্যাক্স, নতুন লাইসেন্স এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করতে পারবেন ‘নগদ’-এ। এর মাধ্যমে নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে গ্রাহকরা অনলাইনে বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারবেন। সুবিধাটি পেতে, ডিএনসিসি এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে ‘নগদ’ অ্যাপসের বিল পে- অপশন অথবা ইউএসএসডি (*১৬৭#) এর মাধ্যমে সহজেই এই ফি পরিশোধ করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের এই ডিজিটাল প্রক্রিয়ার অংশ হতে অনেকেই চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা নগদকেই প্রাধান্য দিয়েছি, কারণ নগদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধ্যাদেশ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আজ হোল্ডিং ট্যাক্স ও লাইসেন্স পেমেন্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে এনেছি, ভবিষ্যতে সকল লেনদেন এই আওতায় চলে আসবে। পাশাপাশি আমরা চাই নগদ এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন এর কাজ আরও এগিয়ে যাক।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাহেল আহমেদ বলেন, ‘নগরবাসীর বিড়ম্বনা দূর করতে ডিএনসিসি এর সাথে এই চুক্তিটি করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নগদ সবসময় গ্রাহকদের জীবন সহজতর করতে সর্বাত্মক সহযোগিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা ডিএনসিসির সকল সেবা ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের অংশীদার হয়ে কাজ করে যেতে চাই। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে ‘নগদ’ সবসময় এ ধরণের উদ্যোগে পাশে থাকবে।
চুক্তিটি ট্রেড লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন ও গৃহকর পরিশোধে নগরবাসীর হয়রানি নিরসনে এবং নগরবাসীর মূল্যবান সময় বাঁচাতেও সহায়তা করবে। এই উদ্যোগটি ডিএনসিসির সকল কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করণ এবং ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ’ সংক্রান্ত প্রকল্পের একটি অংশ।
Leave a reply