চার মাসের শিশু সন্তানকে অস্বীকার করছেন পুলিশ কর্মকর্তা

|

চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতৃপরিচয়ের দাবিতে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন একজন নারী। অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তা এআইজি মহিউদ্দিন ফারুকী।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তিন বছর ধরে সম্পর্ক তাদের। ফারুকী তাকে বিয়ে করবেন এই আশ্বাসে আগের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন তিনি। এরপর হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বদলে যেতে থাকে পুলিশ কর্মকর্তার আচরণ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বাচ্চা অস্বীকার করছিল ফারুকী। তবে এরপর তাকে ধর্ষণ মামলা দেয়ার কথা জানান ওই নারী। এরপর আবার সম্পর্ক ঠিক করতে বলে ফারুকী। মামলার হাত থেকে বাঁচতে তাকে গত বছরের ৬ জুন বিয়ে করেন মহিউদ্দিন ফারুকী। বিয়ের পরে পুলিশ সদর দফতরে স্বামীর অফিসে যেতেন ওই নারী। তাদের মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেও যা স্পষ্ট। কিন্তু, বিয়ের ঠিক দেড় মাসের মাথায় ওই নারীকে তালাক দেন ফারুকী।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তাদের কন্যা শিশু জন্মের পর তার বাবা পরিচয় না দিতে আদালত থেকে একতরফা রায় আনেন এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী। এরপরেই রাগে-ক্ষোভে পুলিশ সদর দফতর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ভ্রুণ হত্যার অভিযোগেও আদালতে মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, একজন গর্ভবতী মহিলার সাথে তিনি যে অন্যায় অবিচার করেছেন তার বিচার আমি চাই। একজন মা জানে, তার শিশুর বাবা কে। দরকার হলে ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হোক কে তার বাবা। আমি আমার জন্য কিছু চাই না। আমি চাই শিশুটি পিতৃপরিচয় পাক।

এসব অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর এসপি ফারুকীকে কল করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। এসএমএস পাঠিয়েও কোনো উত্তর আসেনি তারা। তবে, বিভিন্ন টিভি ও পত্রিকায় বলেছেন- তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন না তিনি।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদরদফতরের ডিসিপ্লিন ও জনসংযোগ শাখায় যোগাযোগ করা হলে, আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে রাজি হননি কেউ। তবে, এআইজি মিডিয়া জানিয়েছেন, ব্যক্তির দায় তার নিজের, বাহিনীর নয়। অভিযুক্ত হলে তাকেই শাস্তি পেতে হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply