আন্তর্জাতিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞার পরও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে বলে আশাবাদী রাশিয়া। অর্থ লেনদেন স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ও মস্কো সুইফট এর বিকল্প খুঁজছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানন্টিটসকি।
ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর অবস্থান পরিষ্কার করতে ঢাকার রুশ দূতাবাস প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় তিনি এসব তথ্য জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের পর সুইফট কোডে অর্থ লেনদেন বন্ধ। তাহলে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে আলেকজান্ডার ম্যানন্টিটসকি বলেন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীভাবে লেনদেন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছে। একটা বিকল্প ব্যবস্থা হবে। প্রকল্পের খরচ বাড়বে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে এটি সঠিক সময়েই শেষ হবে। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রাশিয়ার অর্থনীতিতে পড়বে না।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী, এর প্রভাব তেমন হবে না।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে রাশিয়া। এরইমধ্যে বসেছে প্রথম নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর। অপরটিও প্রক্রিয়াধীন। এক লাখ তের হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন আলেকজান্ডার ম্যানন্টিটসকি। জানিয়েছেন, কারও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দেশটি নাক গলায় না। কোয়াডে বাংলাদেশ যুক্ত হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত এ দেশের সরকারের।
এছাড়া, রোহিঙ্গা সংকটের দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে রাশিয়ার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে পশ্চিমা দেশগুলোর মানবিক সহায়তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই রুশ কূটনীতিক। বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকেই করতে হবে। কক্সবাজারে এত এনজিও কাজ করছে। এদের অর্থায়নের উৎস আর উদ্দেশ্য কী, সেটা বোঝা জরুরি।
/এমএন
Leave a reply