রাজধানীতে জোড়া খুনের ঘটনায় শার্প শ্যুটার অংশ নিয়েছে: পুলিশ

|

উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ। ছবি: সংগৃহীত।

মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ জানিয়েছেন, রাজধানীতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে ঘটে যাওয়া জোড়া খুনের ঘটনায় শার্প শ্যুটার অংশ নিয়েছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১০টি গুলি করেছে। শ্যুটারদের মধ্যে একজন মোটরসাইকেলে ছিল, আরেকজন খুব কাছ থেকে গুলি করেছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) ও রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি নিহত হন। এরমধ্যে জাহিদুল গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে মুন্না (২৬) নামে টিপুর গাড়িচালক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে নিহত প্রীতি একটি রিকশায় ছিলেন। শ্যুটাররা পালানোর সময় ছোড়া ফাঁকা গুলিতে সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে জোড়া খুন: পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলো না কলেজছাত্রী প্রীতির

রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন।

মো. আ. আহাদ আরও জানান, জাহিদুল ইসলাম টিপুকে কয়েকদিন আগে একটা নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দিয়েছিল। এ বিষয়ে তারা পুলিশকে জানায়নি। আর পালানোর সময় যে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল, তাতে প্রীতি নিহত হয়েছে।

নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ডলির স্বামী।

টিপুর স্ত্রী ডলি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। প্রীতির পরিবারের কেউ থানায় আসেননি বলে এ সময় উল্লেখ করেন। তবে ডলির মামলাতেই প্রীতির বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে জোড়া খুন: বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে র‍্যাব

এদিকে সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ প্রীতির বাবার অভিব্যক্তি, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন না। কারও কাছে বিচার চান না। প্রীতির মা হোসনে আরাও জানিয়েছেন, তারা বিচার চান না। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কার কাছে বিচার চাইবো? কী চাইবো? আমার নিষ্পাপ মেয়ে রাজনীতির বলি।

এছাড়া র‍্যাবের র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের বলেন, জোড়া খুনের ব্যাপারে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ নেতা মিল্কি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণি বিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় মতিঝিল থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপুকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই মামলায় তিনি পরে গ্রেফতারও হন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply