প্রীতি হত্যায় মামলা করবেন না বলে জানিয়েছেন তার পিতা। সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ পিতার অভিব্যক্তি, এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন না। কারও কাছে বিচার চাইবেন না।
অন্যদিকে, প্রীতির মা হোসনে আরাও জানিয়েছেন, তারা বিচার চান না। প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, কার কাছে বিচার চাইবো? কী চাইবো? আমার নিষ্পাপ মেয়ে রাজনীতির বলি।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জোড়া খুনের ঘটনায় শার্প শ্যুটার অংশ নিয়েছে: পুলিশ
রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামিয়া হাসপাতালের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) ও রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি নিহত হন। এরমধ্যে জাহিদুল গাড়িতে ছিলেন। গুলিতে মুন্না (২৬) নামে টিপুর গাড়িচালক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে নিহত প্রীতি একটি রিকশায় ছিলেন। দুর্বৃত্তরা পালানোর সময় ছোড়া ফাঁকা গুলিতে সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মুন্না সেখানে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে জোড়া খুন: পরিবারের পাশে দাঁড়ানো হলো না কলেজছাত্রী প্রীতির
নিহত প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ডলির স্বামী।
টিপুর স্ত্রী ডলি বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ। প্রীতির পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে যাননি বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ডলির মামলাতেই প্রীতির বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে।
মো. আ. আহাদ জানিয়েছেন, জোড়া খুনের এ ঘটনায় শার্প শ্যুটার অংশ নিয়েছে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ১০টি গুলি করেছে। শ্যুটারদের মধ্যে একজন মোটরসাইকেলে ছিল, আরেকজন খুব কাছ থেকে গুলি করেছে।
/এমএন
Leave a reply