সীমান্ত অতিক্রম করে ইউরোপে প্রবেশ করার সময় ২৯ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫০ কোটি) নিয়ে ধরা পড়লেন ইউক্রেনের বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী আনাস্তাসিয়া কোটভিটস্কি। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
ডলার এবং ইউরো মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ ইউক্রেন থেকে পাচার করা হয়েছে বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আনাস্তাসিয়া ইউক্রেনের বিশিষ্ট বিত্তশালী তথা বিতর্কিত প্রাক্তন সংসদ সদস্য ইগর কোটভিটস্কির স্ত্রী। অর্থ পাচার করার সময় তা হাঙ্গেরির আবগারি দফতরের নজরে পড়ে বলেও জানা গিয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ নগদ নিয়ে একটি সন্দেহভাজন ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের চেষ্টা করার জন্য আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। কিয়েভের অন্য এক ব্যবসায়ী সেয়ার খুশুতভ এই অর্থ পাচারের বিষয়টি জনসমক্ষে নিয়ে আসেন।
Ukrainian media report that the wife of former MP Kotvytskyy tried to take $28 million and 1.3 million euros out of #Ukraine via #Zakarpattya.
The money was found by the #Hungarian border guards and forced to declare it. pic.twitter.com/ZCjDlIxdwB
— NEXTA (@nexta_tv) March 20, 2022
ইগর জানান, তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সন্তানের জন্ম দেয়ার জন্য দেশ ছাড়ছেন। তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার আগে ইগর বলেন, আমার সমস্ত অর্থ ইউক্রেনের ব্যাংকে আছে। আমি কিছুই বের করিনি। ইগরের প্রথম পক্ষের মেয়েও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে আনাস্তাসিয়া অভিযোগ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি। আনাস্তাসিয়া বিতর্কিত দিনে নিজের মা এবং হাঙ্গেরির অন্য দুই পুরুষের সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলেন বলেও জানা গেছে।
আনাস্তাসিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনের ভিলক চেকপয়েন্ট দিয়ে প্রস্থান করার সময় এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা জানাননি। কিন্তু পরে হাঙ্গেরিতে পৌঁছে অর্থ নিয়ে আসার কথা জানান।
ইউক্রেনে ইতোমধ্যেই গুজব উঠেছে, কিয়েভ-মস্কো সংঘাতের আবহে ইউক্রেনের বিত্তশালীরা নিজেদের অর্থ নিয়ে বিদেশে পালাতে চাইছেন।
ইগর ইউক্রেনের পরমাণু শক্তি দ্বারা চালিত ব্যবস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। তাছাড়াও তিনি ইউক্রেনের ইউরেনিয়ামের মজুত করার বিভিন্ন বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া এই মজুতের বেশ খানিকটা দখল করেছে।ইউক্রেনের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন অ্যাভাকভের সঙ্গেও তার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে।
ইউএইচ/
Leave a reply