হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ১৩ এপ্রিল

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১৩ এপ্রিল। রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আল মামুন রায় ঘোষণার জন্য এ তারিখ ধার্য করেন।

এ হত্যা মামলার চার আসামির মধ্যে সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ পলাতক এবং আনোয়ারুল আলম ওরফে আনোয়ার ও মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ কারাগারে রয়েছেন।

রোববার রায়ের তারিখ ধার্যের আগে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন উল্লেখ করে আদালতের কাছে এই অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ আদালতকে বলেন, প্রসিকিউশন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ প্রসিকিউশনের ৪২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

প্রসঙ্গত, ড. হুমায়ুন আজাদ ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট জার্মানির মিউনিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর আগে ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য রিকশায় উঠছিলেন। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলার ১ দিন পর তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

ওই সময় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পাঠায় এবং ৪৭ দিন পর দেশে ফিরে আসেন।

হামলার ৩ বছর পর ২০০৭ সালের ১৪ নভেম্বর সিআইডির পরিদর্শক কাজী আবদুল মালেক ৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার একটি আদালত মঞ্জুর কবিরের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি আরও তদন্তের নির্দেশ দেন। পুনঃতদন্তের পর সিআইডি ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি নতুন চার্জশিট দাখিল করে এবং ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল এটিকে হত্যা মামলায় পরিণত করতে আদালতে আবেদন করে।

পাঁচ আসামিদের মধ্যে হাফিজ প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ২০১২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তদন্তকালে মিনহাজ ও নুর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply