বেনাপোল প্রতিনিধি:
বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের কাজ দখলে নিতে সন্ত্রাসীদের মুহুর্মুহু হামলার ঘটনায় ৩৬ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) সকালে ৩ টি মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়। উদ্ধার করা হয়েছে বোমা, পিস্তল ও গুলি।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পুলিশি আশ্বাসে বন্দর শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজে যোগদান করেন। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি রফতানি বাণিজ্য। বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাশ চলছে। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩৮ ট্রাক মালামাল আমদানি ও ৮৯ ট্রাক মালামাল রফতানি হয়েছে ভারতে। গতরাতে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী বন্দরের সামনে অর্ধশতাধিক বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে ১ জন পুলিশসহ ২০ জন শ্রমিক আহত হয়।
৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা মালামাল লোড আনলোড ও পণ্য খালাশ করছে দ্রুত। পৌর কাউন্সিলর রাশেদ বাহিনীর প্রধান রাশেদ বন্দর দখল করার জন্য ভাড়াটে গুন্ডা এনে বন্দরে অস্থিতিশলী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গতকাল সারাদিন বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর আ. জলিল জানান, বন্দরে বর্তমানে আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বন্দরকে অশান্ত করতে রাশেদ বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে বন্দরের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আজ সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, গতকাল বন্দরে মুহুর্মুহু বোমা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় কাউন্সিলর রাশেদকে প্রধান আসামি করে থানায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৩টি মামলা করা হয়েছে। ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাশেদের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে ৪টি বোমা, ১টি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন সহ ৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
/এনএএস
Leave a reply