যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে খাদ্য উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ার ফল ভুগতে হবে পুরো বিশ্বকে। মঙ্গলবার এ সতর্কবার্তা দেয় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে ডব্লিউএফপির কর্মকর্তারা জানান, হুমকির মুখে পড়েছে সাড়ে বার কোটি মানুষকে দেয়া সহায়তা কার্যক্রম। কারণ ডব্লিউএফপি’র ৫০ শতাংশ শস্যই কেনা হয় ইউক্রেন থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা জানান সংস্থার প্রধান ডেভিড বিজলে।
রুশ হামলার পর ইউরোপের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ইউক্রেন বন্দরে যাতায়াতের পথ। এছাড়া দেশটির বহু কৃষক যোগ দিয়েছে ফ্রন্টলাইনে। তাই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববাজারে গম ও ভুট্টা সরবরাহ। ইউক্রেনকে বলা হয় ইউরোপের রুটির ঝুড়ি। বিশ্ববাজারে গমের ৩০ শতাংশ ও ভুট্টার ২০ শতাংশের যোগানদাতা ইউক্রেন ও রাশিয়া।
ডব্লিউএফপি’র প্রধান নির্বাহী ডেভিড বিজলে বলেন, ইতোমধ্যে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য, পরিবহন ব্যয়ের কারণে রেশন প্রাপ্তদের সংখ্যা অর্ধেক কমাতে বাধ্য হয়েছি। ইউক্রেন থেকে শস্য সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে খাদ্য কর্মসূচি। পুরো বিশ্বকেই ভোগ করতে হবে এর পরিণতি।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করবেন না: জেলেনস্কি
ইউএইচ/
Leave a reply