মায়ের ভিক্ষা করে জমানো কয়েন দিয়ে স্কুটার কিনতে শোরুমে হাজির হলেন ছেলে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের পালপাড়া মোড়ে এক মোটরবাইকের শো-রুমে এ ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িতে করে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের বালতি ভর্তি কয়েন দিয়ে স্কুটার কিনতে হাজির হন রাকেশ পাঁড়ে নামে ওই ব্যক্তি। বালতিতে ৫০ ও ২০ পয়সাও রয়েছে। কিন্তু ৭০ হাজার টাকার খুচরা গুনতে কার হাতে সময় আছে? তবে ভারতে চালু বৈধ মুদ্রা নিতে বাধ্য যে কেউ। তাই শোরুমের ম্যানেজারকেও ঘাড় নাড়তেই হয় এবং শো-রুমের মেঝেতে বালতি উপুড় করে শুরু হয় কয়েন গোনা।
রাকেশ জানায়, বাবা ছোট থাকতেই মারা গেছেন। মা ভিক্ষা করে দুই ছেলেকে বড় করেছেন। বড় ছেলে শ্বশুরবাড়িতে থাকে, মায়ের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ করেন না। রাকেশ সামান্য বেতনে কাজ করেন। ভিক্ষা করে কয়েন জমিয়েছিলেন মা। আর সে কয়েন তার হাতে দিয়ে মা বলেছেন, স্কুটার কেনার শখ মেটাতে।
রাকেশ আরও বলেন, আসলে আমার চেয়েও মায়ের বেশি শখ যে, ঘরে একটা স্কুটার থাক। অন্য সব কয়েন মা খরচ করে। শুধু এক টাকার কয়েন জমায়। এক টাকার কয়েন কেউ নিতে চায় না।
মোটরবাইকের শোরুমের ম্যানেজার গৌরব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না, এত খুচরা নিয়ে কী করবো। কিন্তু এগুলো তো অচল টাকা নয়। নেবো না বলি কী করে?
নদিয়া ব্যাংক লিড ম্যানেজার তপু দত্ত বলেন, এক টাকার কয়েন অচল নয়। সবাই তা নিতে বাধ্য। সেটা কোনো ব্যাংক হোক বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে রমজান মাসে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিলো সৌদি
ইউএইচ/
Leave a reply