সিনিয়র রিপোটার সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় রাজাপুর গ্রামে নিজ শয়নকক্ষে খুন হয়েছিলেন মোন্নাফ। ২১ মার্চ রাতে এ ঘটনার পরদিন সকালে পুলিশ শয়নকক্ষে থেকে মোন্নাফের মরদেহ উদ্ধার করে। ২২ মার্চ নিহতের ছেলে শাহাদৎ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী পুলিশ উপপরিদর্শক (এস আই) নিয়ামুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেনসহ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল তদন্ত করে খুনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মৃতের স্ত্রী কোহিনূর বেগম ও তার প্রেমিক আলমগীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
আজ ৩১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আসলাম হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির পর যমুনা নিউজকে জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছিল মোন্নাফ শেখ। ঘটনার দিন মোন্নাফের স্ত্রীর প্রেমিক আলমগীর রাতে শয়নকক্ষে প্রবেশ করে লোহার হাত-দা দিয়ে কোপ দিলে পেটের ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তখন আলমগীর দ্রুত বের হয়ে খুনের কাজে ব্যবহৃত হাত দা নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রেখে সেই রাতে কামারখন্দ উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে চলে যায়।
গত ৩০ মার্চ রাতে বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর গ্রাম থেকে আসামি কোহিনূর বেগম ও তার প্রেমিক আলমগীরকে আটক করা হয়। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। পরে সে খুনের কাজে ব্যবহৃত হাত-দা নিজের ঘরের টিনের বক্সের নিচ থেকে বের করে দেয়।
পরে আদালতে সে ও কোহিনূর পরস্পরের যোগসাজশে মোন্নাফকে খুন করেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply