কিশোরী ধর্ষণ মামলায় ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড হয়েছে। দুপুরে যোধপুরের এক আদালত এই সাজা শোনান। ওই অপকর্মে তার দুই সহযোগী শিল্পি ও শরদের ২০ বছর করে কারাদাণ্ড হয়েছে।
এর আগে সকালে আদালত ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। যোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরেই আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় রায় দেন বিশেষ আদালত। গত চারবছর ধরে যোধপুর জেলেই বন্দি ৭৭ বছর বয়সী আসারাম।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের ১৬ বছরের কিশোরীকে যোধপুরের মানাই গ্রামে নিজের আশ্রমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে আসারাম। জানাজানি হলে খুন করে ফেলবেন বলে কিশোরী ও তার পরিবারকে হুমকি দেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ২০১৩ সালেই গ্রেফতার হন আসারাম। তার বিরুদ্ধে গুজরাটে আরেকটি ধর্ষণের মামলা চলছে।
বিশ্বজুড়ে আসারাম বাপুর অন্তত ৪শ আশ্রম রয়েছে, যেখানে তিনি অনুসারীদের দীক্ষা দেন। জানা যায়, ষাটের দশকে আধ্যাত্মিক চর্চা শুরু করেন তিনি। ১৯৭২ সালে গুজরাটে খোলেন আসারাম খোলেন তার প্রথম আশ্রম।
তার ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, বিশ্বজুড়ে ৪ কোটি অনুসারী রয়েছে আসারামের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অতীতে তার কাছে দীক্ষা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চলা মামলায় সাক্ষী হয়েছেন, এমন অন্তত ৯ জন গত ৫ বছরে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। এসব ঘটনারও তদন্ত করছে পুলিশ।
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত আর এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের শাস্তি ঘোষণার দিন ভক্তদের তাণ্ডবের কথা মাথায় রেখেই আজ কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় যোধপুরকে। রাজস্থান, গুজরাত ও হরিয়ানা, তিন রাজ্যেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়।
Leave a reply