রাজধানীর শাহজাহানপুরে জোড়া খুনে জড়িত শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ নাম বদলে বগুড়ার একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছিলেন। এর ৮ ঘণ্টার মাথায় পুলিশ তার অবস্থান নিশ্চিত হয়। এরপর অভিযানে ধরা পড়ে। যমুনা টেলিভিশনের কাছে দুর্ধর্ষ এই শুটারকে আটকের বর্ণনা দিয়েছেন অভিযানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা।
বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক লাগোয়া চারমাথা এলাকার খাজা হাইওয়ে মোটেল। গত শনিবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ এই হোটেলের ১ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন শুটার আকাশ। তবে পুলিশের কাছে প্রথমে তথ্য ছিল সাতমাথা এলাকার খাজা হোটেলে উঠেছে খুনী। সেখানে অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। এরপরই তথ্য আসে সাতমাথা নয়, চারমাথার খাজা হাইওয়ে হোটেলে রয়েছেন আকাশ।
অভিযানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অবস্থান নিশ্চিতের পর প্রথমে হোটেলে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করেন তারা। এরপর হোটেল জুড়ে চলে তল্লাশি। একপর্যায়ে ধরা পড়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যাকারী।
বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, প্রথম দিকে পুলিশ দেখে সে তেমন একটা নার্ভাস ছিল না। তবে পরবর্তীতে কিছু ছবি বা তথ্য দেয়ার পর সে বুঝতে পারে কোনো গণ্ডগোল আছে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ তাজমিলুর রহমান বলেন, আকাশ খুবই ঠান্ডা মাথার মানুষ। তাকে যেসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়েছে, সবগুলোই ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর দিয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, নাম বদলে মামুন পরিচয়ে উঠেছিলেন আকাশ। জানিয়েছিলেন ব্যবসার কাজে বগুড়ায় এসেছেন।
গ্রেফতারের পরদিন রোববার (২৭ মার্চ) ঢাকায় আনা হয় আকাশকে। ৭ দিনের পুলিশি রিমাণ্ডে রয়েছেন এই শুটার।
এসজেড/
Leave a reply