রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শিগগিরই শুরু হচ্ছে না বলে ধারণা জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর-এর। বাংলাদেশের সাথে সমঝোতা সইয়ের পর এখনও সংস্থাটিকে রাখাইনে পূর্ণাঙ্গ প্রবেশাধিকার দেয়নি মিয়ানমার। এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করলেও ইতিবাচক সাড়া পায়নি সংস্থাটি। ঢাকা অফিস বলছে, বাংলাদেশ যথেষ্ট করেছে, প্রত্যাবাসন শুরুর দায়িত্ব এখন মিয়ানমারের।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় কূটনৈতিক তৎপরতায় জোর দেয় বাংলাদেশ। কথা ছিল, ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এপ্রিল পেরিয়ে যাচ্ছে, তবুও তা শুরুর হদিস নেই। এরই মধ্যে এ কাজে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত হয়েছে ইউএনএইচসিআর। প্রত্যাবাসনের জন্য শরণার্থীদের তালিকা তৈরি থেকে যাছাই বাছাই, রাখাইনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরণার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার কথা তাদের। সে জন্য মিয়ানমারে স্বাধীনভাবে তথ্য জোগাড় করা জরুরি ইউএনএইচসিআর’র।
ইউএনএইচসিআর’র ঢাকা প্রতিনিধি অ্যানড্রু মবোগরি বলেন, আমরা রাখাইনে সীমিত আকারে প্রবেশ করতে পারি। কিন্তু সেখানে বাধাহীনভাবে কাজ করা জরুরি। এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সাথে বহুবার যোগাযোগ করেছি আমরা। কিন্তু কোনো ধরনের ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তথ্য না পেলে আমরা কীভাবে কাজ করবো?
বাংলাদেশের সাথে সই হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, দিনে তিনশ’ করে সপ্তাহে পাঁচদিন প্রত্যাবাসন হওয়ার কথা। বাংলাদেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও এখনো তা শুরু করতে পারেনি মিয়ানমার। আর সঠিক তথ্য না পাওয়ায় প্রত্যাবাসন কবে নাগাদ শুরু হবে, সেটি নিয়েও শঙ্কায় ইউএনএইচসিআর।
অ্যানড্রু মবোগরির মতে, রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক কিছু করেছে বাংলাদেশ। বল এখন মিয়ানমারের কোর্টে। রোহিঙ্গারা কবে যাবে, সেটা বলা খুব মুশকিল। কিন্তু লক্ষণ থেকে মনে হচ্ছে, সময় লাগবে। রাখাইনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে মিয়ানমারকে।
অনেকের শঙ্কা, নানা অজুহাতে প্রত্যাবাসনে আরও দেরি করবে মিয়ানমার। তাই দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার তাগিদ জাতিসংঘের।
এখন প্রায় এগারো লাখ রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত বাংলাদেশ। এর মধ্যে কেবল ২৫ আগস্টের পরই এসেছে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
যমুনা অনলাইন: এমএম/টিএফ
Leave a reply